জিদ (তরুণদের উদ্দেশ্যে)
জিদ
(তরুণদের উদ্দেশ্যে)
জিদ সবসময় খারাপ নয়। কোনো কোনো সময় জিদ মানুষকে এগিয়ে দেয়, বড়ো হতে সাহায্য করে। মনে করো, তুমি একটি মেয়েকে বিয়ে করতে চাও। কিন্তু মেয়ের অভিভাবক তোমাকে পছন্দ করতে পারছে না। কারণ তোমার ভালো চাকরি নেই, বাবার আর্থিক প্রাচুর্যতা নেই বা চাকরি ক্ষেত্রে তোমাকে ছাঁটাই করে দেওয়া হলো বা নানাভাবে তুমি সমাজে হেনস্থা হলে। তোমার সম্মুখে যত সমস্যা সবই দূর হতে পারে যদি তুমি নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে পারো। এজন্য দরকার, সব বাধা অতিক্রম করার জন্য বড়ো হওয়ার এক প্রবল জিদ।
এই পৃথিবীতে অলস, কর্মবিমুখ ও অযোগ্য লোকের কোনো মূল্যায়ন নেই এবং নিজেকে গড়ে তোলার কোনো শর্টকাট পথও খোলা নেই। ভলতেয়ারের উক্তি, প্রতিভা বলে কোনো জিনিস নেই ; পরিশ্রম করো সাধনা করো প্রতিভাকে অগ্রাহ্য করতে পারবে। কেউ যদি কোনো কাজ আট ঘন্টা পরিশ্রমের মাধ্যমে লাভ করতে পারে তুমি সেটি লাভ করার জন্য বারো ঘন্টা পরিশ্রম করো। অসম্ভব বলে কিছু নেই। কঠোর পরিশ্রম সবকিছু সম্ভব করে তুলে।
এজন্য নিজের মধ্যে একটি জিদ লালন করতেই হবে। আমি পারবো এবং পারতে হবে। এ দুনিয়ায় কাউকে ফাঁকি দেওয়া যায় না বরং নিজেকেই দেওয়া হয়। বর্তমান যুব সমাজের মধ্যে কর্ম স্পৃহার দারুণ অভাব। দেশে কর্মসংস্থানের যেমন সংকট পাশাপাশি যারা কর্ম দেবে তারা যোগ্য লোক পাচ্ছে না। ফলে বিপুল পরিমাণ জনশক্তি চীন ও ভারত থেকে নেওয়া হচ্ছে। তরুণদের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানার্জন ও প্রশিক্ষণ জরুরি। সাথে সাথে আরও জরুরি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পরিহার করে আমি পারবো -এই আত্মবিশ্বাসে নিজেকে বলিয়ান করা।
একটি স্লোগান – মা বলেছেন, আমি পারবো। হ্যাঁ, সত্যিই মা যদি তাঁর সন্তানের মাঝে এই আত্মবিশ্বাস জাগ্রত করতে পারে তাহলে কোনো বাধা তাকে আর আটকাতে পারবে না। এই পৃথিবীতে আল্লাহ তায়ালার একটি নিয়ম রয়েছে। যারাই পরিশ্রম করে আল্লাহ তার বদলা দান করেন। মুমিন ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য হলো মুমিন নিজে চেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর সাহায্য কামনা করে। ফলে সে প্রশান্তি পায়। কাফের তা থেকে বঞ্চিত। সারকথা, ‘পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি’। তাই পরিশ্রম করো সাফল্য আসবে।
লেখক,প্রফেসর তোহুর আহমেদ হিলালী
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.