জমজমের পানিতে রয়েছে শেফা
জমজমের পানি
জমজমের পানিতে রয়েছে শেফা
এ এক বিস্ময়। আল্লাহর কুদরত। আজ থেকে চার হাজার বছর আগে আরবের মরুতে হজরত ইসমাইল আ.-এর পায়ের আঘাতে যে ঝর্ণার সৃষ্টি হয়েছিল তা আজও অব্যাহত রয়েছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে ইনশা-আল্লাহ। একটি কূপ থেকে উত্তলিত পানি এতো বিপুল পরিমাণ মানুষের চাহিদা পূরণ করছে ভাবতে মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতায় সেজদাবনত হতে হয়। সত্যিই এটি কেবল মহাপরাক্রমশালী ও সুবিজ্ঞ মহান আল্লাহর কুদরতের পক্ষেই সম্ভব। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কোনো সময় পানির ঘাটতি পড়েনি। বিশেষ করে হজের সময় লোক সমাগম অনেক বেড়ে যায়। সেসময়ে সবাই চেষ্টা করে জমজমের পানি খেতে। শুধু কি তাই? সকল হাজি সেই পানি বহন করে বাড়ি নিয়ে আসে। কেহ হজ বা ওমরাহে যাবে অথচ জমজমের পানি আনবে না সেটি হতেই পারে না। আমি মনে করি, জ্ঞানবানদের হেদায়েতের জন্য এই জমজমের পানিই যথেষ্ট।
পায়ের আঘাতে আরো দুটি ঝর্ণার সৃষ্টি হয়েছিল। একটি আইয়ুব আ.-এর পায়ের আঘাতে। যে পানিতে গোসল করে তিনি আরোগ্য লাভ করেছিলেন এবং তাতে তাঁর চেহারা আরো উজ্জ্বল হয়ে পড়েছিল। গোসলের পানি শরীর থেকে ঝরার সাথে সাথে স্বর্ণ ও মণিমুক্তা ঝরে পড়ছিল এবং তিনি পূর্বের চেয়েও ধনী হয়ে পড়েছিলেন।
দ্বিতীয়টি হজরত ইসা আ.-এর মায়ের পায়ের আঘাতে। লোকলজ্জার ভয়ে সন্তান প্রসবের পূর্বে তিনি এক খেজুর বাগানে আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং সেখানেই ইসা আ.-এর জন্ম হয়। আল্লাহর নির্দেশে খেজুর গাছের কাণ্ডকে নাড়া দিলে তাজা খেজুর পড়ে। এভাবে মরিয়ম আ.-এর খাদ্য ও পানির ব্যবস্থা হয়। পরবর্তীতে দুটি ঝর্ণাই বন্ধ হয়ে যায়।
প্রাকৃতিক নিয়ম আল্লাহরই সৃষ্ট কিন্তু আল্লাহ সেই নিয়মের অধীন নন। আবরাহার বিশাল হস্তিবাহিনীর ধ্বংস, মশার কামড়ে নমরুদের মৃত্যু, মুসা আ.-এর সমুদ্র পার হয়ে যাওয়া ও সেই পানিতে ফেরাউনের ডুবে মরা সবই আল্লাহ তায়ালার নিদর্শন। এজন্যই তো তিনি সার্বভৌম এবং তাঁর এই চরম ক্ষমতায় কারো কোনো অংশ নেই। আল্লাহর সৃষ্টির মাঝে ছড়িয়ে আছে জ্ঞানী ব্যক্তিদের জন্য হাজারো নিদর্শন।
প্রফেসর তোহুর আহমদ হিলালী
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.