সত্য ও সুন্দরের প্রতি আহ্বান

কুরবানীর গুরুত্ব ও ফজিলত

প্রবন্ধ: কুরবানীর ফজিলত

কুরবানীর গুরুত্ব ও ফজিলত

মাওলানা নুরুল হুদা ভুঁইয়া

মানব সভ্যতার ইতিহাসের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিটি সত্তা তার প্রিয় ব্যক্তি প্রিয় মানুষ কিংবা প্রিয় সত্তার নিকটবর্তী হওয়ার জন্য, অথবা তার সন্তুষ্টির লাভের উদ্দেশ্যে তার জীবনের সবচেয়ে পছন্দনীয় জিনিসকে উৎসর্গ করে নিজের অকৃত্রিম ভালোবসা ও আবেগকে মানব ইতিহাসে অমর করে রেখেছে। কখনো এই এই অকৃত্রিম উৎসর্গ সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের , আবার কখনো বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানের বিরল দৃষ্টান্তস্বরুপ জীবন উৎসর্গীকরণ।

কুরবানীর গুরুত্ব ও ফজিলত

কুরবানী হলো ইবরাহীম আ: কর্তৃক তার প্রিয় সন্তান ইসমাঈল আ: কে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য উৎসর্গ করা। বান্দার প্রিয় কোন বস্তুর প্রতি হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা আল্লাহ তায়ালার নিকট উপস্থাপন করার অনন্য এক পদ্ধতি। যেমন আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে রাসূল সা. কে নির্দেশ দিয়ে বলেন,

قُلْ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ

বলুন, আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহরই জন্য। (সূরা আনআম : ১৬২)

অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা রাসূল সা. কে হাউজে কাউছার উপহার হিসেবে দিয়ে তার শুকরিয়া স্বরুপ কুরবানী করার আদেশ দেন। তিনি বলেন-

إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ

‘(হে রাসূল!) আমরা আপনাকে কাউসার দান করেছি, সুতরাং আপনি আপনার রবের জন্য সালাত আদায় করুন ও কুরবানী করুন। (সূরা আল কাউছার : ১-২)

স্বয়ং রাসূল সা. নিজে প্রতি বছর কুরবানী করতেন এবং কুরবানীর প্রতি এতো বেশি গুরুত্বারোপ করেছেন যে, যারা সামর্থ থাকার পরও কুরবানী করবে না তাদের প্রতি রাসূল সা. ঈদগাহে আসার বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। তিনি বলেন:

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَ

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, সে যেন অবশ্যই আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়। (মুসনাদ আহমাদ ৮২৭৩, ইবনে মাজাহ ৩১২৩, হাকেম ৭৫৬৫-৭৫৬৬)

ইসলামী শরীয়তে আল্লাহর জন্য কুরবানীর যেমন গুরুত্ব রয়েছে তেমনি অনেক ফজিলতও রয়েছে।

তাকওয়া অর্জনের অন্যতম মাধ্যম:

তাকওয়া অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হলো আল্লাহর জন্য কুরবানী করা। তাকওয়া মূলত অন্তরের নিয়ত তথা ইখলাসের সাথে জড়িত। এটি শুধুমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাই মূল্যায়ণ করতে পারেন। আর তাই আল্লাহ তায়ালা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যার তাকওয়া যত বেশি পরিশুদ্ধ হবে তার কুরবানী তত বেশি কবুলিয়্যাতের পর্যায়ে উন্নীত হবে। কারণ কুরবানীকৃত পশুর কোন অংশই রাব্বুল আলামীনের নিকট পৌঁছাবেনা, শুধু পৌঁছাবে তাকওয়া। আল্লাহ তায়ালা বলেন,

لَن يَنَالَ ٱللَّهَ لُحُومُهَا وَلَا دِمَآؤُهَا وَلَٰكِن يَنَالُهُ ٱلتَّقْوَىٰ مِنكُمْ ۚ كَذَٰلِكَ سَخَّرَهَا لَكُمْ لِتُكَبِّرُواْ ٱللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَىٰكُمْ ۗ وَبَشِّرِ ٱلْمُحْسِنِينَ

আল্লাহর কাছে পৌছায় না সেগুলোর গোশত এবং রক্ত, বরং তার কাছে পৌছায় তোমাদের তাকওয়া।এভাবেই তিনি এদেরকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর এজন্য যে, তিনি তোমাদেরকে হেদায়াত করেছেন; কাজেই আপনি সুসংবাদ দিন সৎকর্মপরায়ণদেরকে।   (সূরা হজ্জ : ৩৭)

উল্লেখিত আয়াতে কারীমা প্রমান করে যে কুরবনীর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দার প্রতি কত খুশি হন।

ক্ষুদার্ত মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করার সুবর্ণ সুযোগ:

ইসলামের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ক্ষুদা ও দরিদ্রমুক্ত একটি ভারসাম্যপূর্ণ বিশ্ব গঠন করা। সেই কারণেই আল্লাহ তায়ালা ও তার রাসূল সা. মুমিনদের বিভিন্নভাবে ফকির মিসকীনদের খাবার প্রদানে আদেশ উৎসাহ প্রদান করেন। পবিত্র কুরআনে সৌভাগ্যবান ও ডানপন্থীদের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন,

أَوْ إِطْعَامٌ فِي يَوْمٍ ذِي مَسْغَبَةٍ؛ يَتِيمًا ذَا مَقْرَبَةٍ؛ أَوْ مِسْكِينًا ذَا مَتْرَبَةٍ؛ ثُمَّ كَانَ مِنَ الَّذِينَ آَمَنُوا وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ وَتَوَاصَوْا بِالْمَرْحَمَةِ؛ أُولَئِكَ أَصْحَابُ الْمَيْمَنَة

‘দুর্ভিক্ষের দিনে ইয়াতিম আত্মীয় স্বজনকে, অথবা দারিদ্র-নিষ্পেষিত নিঃস্বকে খাবার দান করা। অতপর (এর মাধ্যমে) সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় যারা ঈমান এনেছে এবং পরস্পরকে উপদেশ দিয়েছে ধৈর্য্য ধারণের, আর পরস্পরকে উপদেশ দিয়েছে দয়া অনুগ্রহের। আর এরাই হলো সৌভাগ্যশালী। (সূরা আল বালাদ: ১৪-১৮)

অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, যারা দারিদ্রদের খাবার দেয় তারা কোন প্রতিদান যশ খ্যাতি এমনকি কোন কৃতজ্ঞতা প্রকাশও আশা করে না। আল্লাহ তায়ালা বলেন,

إِنَّمَا نُطْعِمُكُمْ لِوَجْهِ اللهِ لاَ نُرِيْدُ مِنْكُمْ جَزَاءً وَلاَ شُكُوْرًا

(তারা বলে) নিশ্চয়ই আমরা শুধু আল্লাহর সস্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে তোমাদেরকে খাবার দান করি, আমরা তোমাদের কাছ থেকে প্রতিদান চাই না, কৃতজ্ঞতাও নয়। (সূরা আদ দাহার : ০৯)

রাসূল সা. ও একইভাবে দারিদ্রদের মাঝে খাবার প্রদানে উৎসাহ দান করেছেন। যেমন হাদিসে এসেছে-

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَىُّ الإِسْلاَمِ خَيْرٌ قَالَ ‏ “‏ تُطْعِمُ الطَّعَامَ وَتَقْرَأُ السَّلاَمَ عَلَى مَنْ عَرَفْتَ وَمَنْ لَمْ تَعْرِفْ

‘আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে আরয করল যে, কোন ইসলাম উত্তম (অর্থাৎ ইসলামের সর্বোত্তম আমল কোনটি?) রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তুমি লোকদের পানাহার করাবে এবং সালাম দিবে, তোমার পরিচিত কিংবা অপরিচিত যেই হোক না কেন।’  (সহীহ বুখারী; ইফা:১২, সহীহ মুসলিম; ইফা: ৬৭)

আর ইসলামে ক্ষুদা ও দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো কুরবানী ও তার গোস্ত বন্টন। আল্লাহ তায়ালা বলেন-

وَالْبُدْنَ جَعَلْنَاهَا لَكُم مِّن شَعَائِرِ اللَّهِ لَكُمْ فِيهَا خَيْرٌ ۖ فَاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ عَلَيْهَا صَوَافَّ ۖ فَإِذَا وَجَبَتْ جُنُوبُهَا فَكُلُوا مِنْهَا وَأَطْعِمُوا الْقَانِعَ وَالْمُعْتَرَّ ۚ كَذَٰلِكَ سَخَّرْنَاهَا لَكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

আর উটকে আমরা আল্লাহর নিদর্শনগুলোর অন্যতম করেছি; তোমাদের জন্য তাতে অনেক মঙ্গল রয়েছে। কাজেই এক পা বাঁধা ও বাকী তিনপায়ে দাঁড়ানো অবস্থায় তাদের উপর তোমরা আল্লাহর নাম উচ্চারণ কর। তারপর যখন তারা কাত হয়ে পড়ে যায় তখন তোমরা তা থেকে খাও এবং আহার করাও ধৈর্যশীল অভাবগ্রস্তকে ও সাহায্যপ্রার্থীদেরকে ; এভাবে আমরা সেগুলোকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছি। যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্ৰকাশ কর।’ (সূরা আল হজ্জ : ৩৬)

রাসূল সা. নিজেও কুরবনীর গোস্ত গরিবদের মাঝে বন্টনের আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন,

فَكُلُوا وَادَّخِرُوا وَتَصَدَّقُوا ‏

‘এখন তোমরা খাবে, জমা করে রাখবে এবং সাদাকা করবে।’ (সহীহ মুসলিম;ইফা: ৪৯৪২)

কুরবানীর পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময় নেকী

একজন মানুষ যখন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্যে কুরবানী করে তখন আল্লাহ তায়ালা এর প্রতিদান হিসেবে জবাইকৃত পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে তাকে প্রতিদান দান করেন। রাসূল সা. ইরশাদ করেন,

وعن زيد بن أرقم – رضي الله عنه – قال : قال أصحاب رسول الله – صلى الله عليه وسلم – : يا رسول الله ، ما هذه الأضاحي ؟ قال : سنة أبيكم إبراهيم – صلى الله عليه وسلم – قالوا : فما لنا فيها يا رسول الله ؟ قال : بكل شعرة حسنة . قالوا : فالصوف يا رسول الله ؟ قال : بكل شعرة من الصوف حسنة

‘যায়েদ ইবনে আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! এই কুরবানী কী? তিনি বলেন, তোমাদের পিতা ইবরাহীম (আ) এর সুন্নাত (ঐতিহ্য)। অত:পর সাহাবায়ে কিরাম রা: জিজ্ঞাসা করেন ; ইয়া রাসূলুল্লাহ! এই কুরবানী দ্বারা আমাদের কি প্রতিদান মিলবে? রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকী দেওয়া হবে। অত:পর সাহাবায়ে কিরাম বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ সা.! ‘সওফ’ অর্থাৎ দুম্বা, ভেড়া এবং উটের বিনিময়েও এ পরিমাণ ছাওয়াব দেওয়া হবে। রাসূল সা. বলেন, হ্যাঁ। প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি দেওয়া হবে। (যয়ীফ; সুনানে ইবনে মাজাহ :৩১২৭)

দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণকর আমল কুরবানী :

মুমিনদের অসংখ্য আমল রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে একজন মুমিন আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি, আখেরাতের মুক্তির পাশাপাশি দুনিয়ায়ও এর কল্যাণ লাভ করে। কিন্তু কুরবানী এমন এক ব্যতিক্রমধর্মী আমল যার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টি, আখেরাতের মুক্তি লাভের পাশাপাশি  দুনিয়াবী কল্যাণও লাভ করে। অর্থাৎ একদিকে যেমন সে জবাইকৃত পশুর গোস্ত খেতে পারে অপরদিকে সে আল্লাহর নিকট সাওয়াবের প্রত্যাশা করে এবং এই কুরবানীর মাধ্যমে ব্যক্তি তার কৃপনতা দূর করে মনের পবিত্রতা হাসিল করে।

রাসূলুল্লাহ সা. বলেন,

عن عائشة – رضي الله عنها – قالت : قال رسول الله – صلى الله عليه وآله وسلم – : ” ما تقرب إلى الله – تعالى – يوم النحر بشيء هو أحب إلى الله – تعالى – من إهراق الدم ، وأنها لتأتي يوم القيامة بقرونها وأشعارها وأظلافها ، وإن الدم ليقع من الله – تعالى – بمكان قبل أن يقع على الأرض ، فطيبوا بها نفسا

আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কুরবানীর দিন রক্ত প্রবাহিত করা (যবাহ করা) অপেক্ষা আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় মানুষের কোন আমল হয় না। কিয়ামতের দিন এর শিং লোম ও পায়ের খুর সব সহ উপস্থিত হবে। এর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর কাছে বিশেষ মর্যাদায় পৌছে যায় সুতরাং স্বচ্ছন্দ হৃদয়ে তোমরা তা করবে। (তিরমিজী, ইফা: ১৪৯৯)

অন্য হাদিসে এসেছে কুরবানীর পশুর রক্ত জমিনে পড়ার পূর্বেই আল্লাহ তায়ালা কুরবানী দাতার পূর্বের সকল গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিবেন।

عن أبي سعيد رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يا فاطمة قومي إلى أضحيتك فاشهديها فإن لك بأول قطرة تقطر من دمها أن يغفر لك ما سلف من ذنوبك . قالت يا رسول الله ألنا خاصة أهل البيت أو لنا وللمسلمين قال بل لنا وللمسلمين

আবু সাঈদ খুদরী রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ সা: ফাতেমা রা: কে বলেছেন: তুমি তোমার পশু যবেহের স্থানে উপস্থিত থাক। কুরবানীর পশুর প্রথম ফোটা রক্ত মাটিতে পড়ার সাথে সাথে তোমার অতীতের সকল গুনাহ আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করেবন। ফাতেমা রা: বললেন: হে আল্লাহর রাসূল সা. এই গুনাহ ক্ষমা হওয়ার বিষয়টি আমাদের জন্য বিশেষিত নাকি সকল মুসলমানের জন্য? রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, আমাদের এবং সকল মুসলমানের গুনাহ ক্ষমা করা হবে। (যয়ীফ; আল মুসতাদরাক আলাচ্ছাহীহাইন : ৭৬৩৩)

মোদ্দাকথা হলো  কুরআন ও সুন্নাহকে সামনে রেখে বিবেচনা করলে এই কথাই প্রতীয়মান হয় যে আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোন পশু যবাইয়ের মাধ্যমে যেমন মানুষ আল্লাহর নৈকট্য পেতে পারে, তেমনি পারে অসহায় দীনহীন মানুষের মুখে এক টুকরো গোস্ত তুলে দিতে। এর মাধ্যমে যেমন একজন মানুষ মানবিক হয়ে উঠবে তেমনি মনের ভিতর থাকা পশুত্বকেও কুরবানী করা যাবে। সুতরাং সামর্থবান মুসলমানের উচিৎ কুরবানী করা ও যথাসাধ্য গরীব-মিসকীক, অসহায় প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনদের ভাগাভাগি করে এই মহৎ ইবাদত উৎযাপন করা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের তাওফীক দান করুন। আমীন।

লেখক,

মাওলানা নুরুল হুদা ভুঁইয়া

খতিব, বাইতুল গফুর জামে মসজিদ

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.

Verified by MonsterInsights