সত্য ও সুন্দরের প্রতি আহ্বান

মুসলিমবিরোধী আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের রুপরেখা

দুনিয়াজুড়ে এখন চলছে মুসলিম বিদ্বেষ আর নিপীড়নের উৎসব। হেন উপায় নেই যা প্রয়োগ করা হচ্ছে না মুসলমানদের বিরুদ্ধে। মুসলমানদের সব কিছুতেই দোষ। তাদের বেশভূষায় দোষ। তাদের দাড়িতে, টুপিতে দোষ। তারা শরীর দেখায় না, তাতেও দোষ। তাদের কিতাব, পুস্তক, পত্রিকার দোষ। মসজিদ-মক্তবের দোষ। তাদের গরু খাওয়াতে দোষ, শুয়োর না খাওয়াতেও দোষ। শুধু ব্যক্তিই নয়, অনেক সরকারও এ ব্যাপারে বিশেষ নাখোশ। এদের ভাবটা যেন সবার উপরে গরুই সত্য তাহার উপর নাই। আর তাই গরুর সম্ভ্রম রক্ষায় মানুষ পিটিয়ে মেরে ফেলতেও তাদের বাধে না।

সব যুগের মানুষই গোশত খেত, এখনো খায়। কিন্তু খাওয়ার সময় কেউ চিন্তা করে না যে, কিভাবে পশু-পাখিগুলোকে মারা হলো, আর কিভাবেই-বা গোশত এলো টেবিল পর্যন্ত। সেই চিন্তা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে মুসলমানদের কোরবানি দিতে দেখলেই। এমন দুশ্চিন্তা বস্তুত প্রমাণ করে, মানুষের মধ্যে প্রাণীর প্রতি সত্যিকারের মমত্বসৃষ্টিতে নিজ হাতে পশু কোরবানির কোনো বিকল্প নেই। উপরন্তু কোরবানি মানুষকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, এই জীবনের অনিবার্য পরিণতি, মানুষ সুযোগ পায় নতুন করে ভাবার।

মুসলমানদের নামাজ রোজার মতো রুটিন ইবাদতগুলোও যেন অনেকের চুশূল। কারণ সেসবে উপাসনা করা হয় শুধু এক আল্লাহর। সেখানে মানা হয় না এক আল্লাহ ছাড়া শক্তির অন্য কোনো উৎসকে। এ কারণেই মুসলমানরা মানতে পারে না খেলাধুলার মধ্যে স্পিরিটের প্রতীক হিসেবে মশালকে, স্যালুট করতে পারে না আগুনের শিখাকে, মসজিদে রাখতে পারে না সরকারি ছবিও। আর তাই মুসলমানরা যা-ই করে সেটাই হয়ে যায় আন্তর্জাতিক আইনের বরখেলাপ। তারা যে ভাবেই চালাতে চায়, সেটাই হয়ে পড়ে বর্বরতা নয় তো অমানবিকতা।

অথচ মুসলমানেরা কখনো কোনো দেশ দখল করে রাখেনি। কোনো দেশ থেকে সেখানকার অধিবাসীদের অস্ত্রের মুখে উচ্ছেদ করে উদ্বাস্তু বানায়নি। কাউকে ধর্ম বদলে বাধ্য করেনি বরং সব সময়ই সুরক্ষা দিয়েছে অন্যদের ধর্ম ও আচারকে। তারা কোনো বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেনি। কোনো শহরকে তারা বোমা মেরে পলকে ধুলোয় মিশিয়ে দেয়নি। তাদের কারণে বিশ্বে কোনো আণবিক-পারমাণবিক বিপর্যয় ঘটেনি। এমনকি আমেরিকার মতো নিত্য খুনোখুনির দেশেও পরিসংখ্যান অনুযায়ী মুসলমানদের অপরাধের মাত্রা সব চেয়ে কম।

দুনিয়াতে এখনো এমন সমাজ আছে যেখানে নারীরা দিনশেষে ঘরে ফেরা স্বামীদের সেজদা করে অভ্যর্থনা জানিয়ে থাকে ধর্ম ও সমাজের কারণে। এমনও ধর্ম আছে যেখানে পৈতৃক সম্পত্তিতে নারীর কোনো অধিকারই কখনো স্বীকৃতি ছিল না, এখনো নেই। সেসব ক্ষেত্রে সবাই চুপ, যেন সেগুলো সবই আইনসম্মত এবং মানবিকতায় পূর্ণ। শুধু মুসলমানদের সব কিছুতেই অপরাধ। মুসলিম ওলামা, মাওলানা মানেই নারীবিদ্বেষী, নারীলোলুপ।

কিন্তু বাস্তবতা বলে, দেশের কঠোর নারী নির্যাতন আইনের আওতায় প্রতিদিনই জেলহাজত হচ্ছে যেসব পুরুষের সেখানে ইমাম, মাওলানা, মাদরাসা ছাত্রের সংখ্যা অতি নগণ্য, প্রায় শূন্য। ব্যাপারটা চোখে পড়ার মতো। এটা প্রমাণ করে ইমাম, মাওলানাদের পরিবারে রয়েছে সেই শান্তি যা সমাজের অন্যত্র অনুপস্থিত। তারপরও এদের ঘাড়ে নারীবিদ্বেষের দায় চাপানো নিতান্তই ইসলামবিদ্বেষী পঙ্গু মানসিকতা ছাড়া কিছুই নয়। মুসলিমবিরোধী এ অবস্থা যে হঠাৎই শুরু হয়েছে তা বলা যাবে না। অনেক দিন ধরেই যেন চলছিল এর আয়োজন, চলছিল গ্রাউন্ড ওয়ার্ক। পশ্চিমা মিডিয়াতে প্রায়ই দেখা গেছে, তার অনেক নমুনা। তেমনি একটা নমুনা চোখে পড়েছিল দুনিয়া সোয়াইন ফুতে আক্রান্ত হওয়ার সময়। সময়টা ২০০৮-০৯ হবে। মিডিয়াতে সেই ফুর ভয়াবহতা প্রচার হচ্ছিল ব্যাপকভাবে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল বিশ্ব। এমন পরিস্থিতিতে সময় হলো বাৎসরিক হজের। ফুর কারণে ছিল বাড়তি সতর্কতা। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাও কাজ করছিল একত্রে। খবরগুলো মিডিয়াতে আপডেট হচ্ছিল নিয়মিত। তারপরও প্রায় ৪০ লাখ লোকের ওই মহাসমাবেশের ব্যাপারে অতিমাত্রায় উদ্বিগ্ন ছিল পশ্চিমা দুনিয়া।

সেই উদ্বেগের প্রকাশ দেখা গেল আমেরিকার এবিসি টেলিভিশনে। বিষয়টার ওপর তারা একটা চুলচেরা বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ তুলে ধরল তাদের জনপ্রিয় সান্ধ্যকালীন ওয়ার্ল্ড নিউজে। তাদের তরুণী জীবাণু বিশেষজ্ঞ বললেন, হজ হতে পারে সোয়াইল ফু ভাইরাসের জন্য একটা পেট্রি ডিশ বিশেষ। উল্লেখ্য, পেট্রি ডিশ হলো এক ধরনের প্লেট, যার মধ্যে জেলির মতো খাবার রেখে ইচ্ছা মতো জন্মানো যায় ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস। অর্থাৎ হজের মাঠে লাখ লাখ মানুষকে একত্রে পেয়ে সোয়াইন ফুর জীবাণু পেয়ে যাবে অবাধ বংশবিস্তারের মোক্ষম সুযোগ। দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে একজন থেকে অন্যজনে এবং হজ শেষে দেশ থেকে দেশান্তরে ফেরা হাজীদের সাথে সোয়াইন ফুর ভাইরাসও ছড়িয়ে পড়বে জগতজুড়ে। বিশ্ব আক্রান্ত হবে ফুতে। হবে সোয়াইন ফুর মহামারী। সভ্যতার জন্য সৃষ্টি হবে বাঁচা-মরার অবস্থা। সেই মহা দুর্যোগ ঠেকানো যাবে না কোনোভাবেই।

খুবই সহজ তাত্ত্বিক হিসাব। কোনো ভুল নেই ওই হিসাবে। ভাইরাসের যা জীবনচক্র তাতে ঠিক তা-ই হওয়ার কথা। কিন্তু হজ শেষে সেই হিসাব গেল পাল্টে। কিছুই হলো না কোথাও। এমনকি হজের মাঠেও কেউ মারা যাননি সোয়াইন ফুতে। কী হলো, কিভাবে হলো এবং কেন এমন হলো তা আর কেউ বিশ্লেষণ করল না। আশায় ছিলাম, এবিসির একটা ফলোআপ প্রতিবেদন দেখার। কিন্তু সে বিষয়ে তাদের আর কথা বলতে দেখা গেল না। কথা নিশ্চয় বলত, যদি হাজীরা ফুতে মারা যেতেন। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছিল যে, হজের প্রতি মমতা থেকে নয়; বরং হজকে বহুবিধ বৈশ্বিক সমস্যার উৎস প্রমাণ করাই ছিল ওই প্রচারণার উদ্দেশ্য। তারও বেশ কয়েক মাস আগে ওই এবিসি টিভিরই বিখ্যাত সাংবাদিক ডায়ান সয়্যার একটা প্রতিবেদন করেছিলেন তার সৌদি আরব সফরের ওপর। সফরের উদ্দেশ্য ছিল আমেরিকানদের কাছে সৌদি জীবনধারা সহজ করে তুলে ধরা।

সফরের একপর্যায়ে ডায়ান সয়্যার কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের সাথে। এক ছাত্রকে জিজ্ঞেস করা হয়, পাঠ্যপুস্তকের বর্ণিত একটা বিশেষ হাদিসের বিষয়ে। বিখ্যাত ওই হাদিসে বলা হয়েছে যে, কিয়ামত ততক্ষণ পর্যন্ত হবে না, যে পর্যন্ত ইহুদিদের সাথে মুসলমানদের একটা যুদ্ধ হবে; যে যুদ্ধের একপর্যায়ে যুদ্ধক্ষেত্রের গাছ-পাথর ও মুসলিম যোদ্ধাদের ডেকে ডেকে তাদের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ইহুদিদের ধরিয়ে দেবে। সৌদি তরুণের কাছে প্রতিবেদকের প্রশ্ন ছিল, স্কুলের বইতে এ ধরনের বিবরণী থাকায় তাদের মনে শিশুকাল থেকেই ইহুদি জাতির প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি হচ্ছে কি না এবং এ ধরনের পাঠ্যক্রমকে সে বিদ্বেষমূলক মনে করে কি না। সৌদি তরুণ শুরু করেছিল উত্তর দেয়া, কিন্তু সেই উত্তর শেষ অবদি প্রচার করা হয়নি, মাঝ পথে কথা কেটে দিয়ে হঠাৎ পাল্টে ফেলা হয়েছিল প্রসঙ্গ। যেন হাতে সময় নেই, তাই পুরো ব্যাখ্যা প্রচার করা গেল না। বুঝতে অসুবিধা হয়নি, সৌদিরা যে আসলে কতটা ইসলামিক এবং সেই ইসলামে পশ্চিমাদের ধারণায় কী কী ভুল বা বিদ্বেষ আছে সেটা তুলে ধরাই ছিল ওই আয়োজনের পেছনের উদ্দেশ্য, বিস্তারিত জানা বা বোঝার কোনো আগ্রহ তাদের ছিল না। ওই তরুণের বক্তব্য পুরো প্রচার করা হলে নিশ্চিতভাবেই জানা যেত যে, নবীজি সা:-এর হাদিসগুলো যেনতেন কোনো কথামালা নয়।

সেগুলো হলো প্রফেসি এবং কোনো প্রফেসিকেই কখনো পরিবর্তন করা যায় না। সেই সুযোগ কখনোই ছিল না, এখনো নেই। সেই ক্ষমতাও কারো নেই। প্রফেসির ব্যাখ্যায় থাকতে পারে ভিন্নতা, বিশ্লেষণও হতে পারে বিভিন্ন। কিন্তু সেগুলো শেখার সময় প্রতিটি অক্ষর ঠিক রেখেই শিখতে হয়, সাথে জানতে হয় অসম্ভাব্য ব্যাংখ্যাগুলোও। এর অন্যথা হলে মানুষ হারাবে প্রকৃত তথ্য ও জ্ঞানের অপার্থিব ঐশ্বরিক সূত্র, আর তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে মানুষ নিজেই। এসব কথা জানে পশ্চিমা দুনিয়া। তারা বরং অনেক মুসলমানের চেয়েও ভালো জানে। কারণ সব তথ্যভাণ্ডারই এখন তাদের হাতে এবং সব ধরনের গবেষণাতেই তারা এখন অগ্রগামী।

 

উল্লেখ্য, নবীজি সা:-এর পর যেহেতু আর কোনো নবী আসবেন না, তাই মানুষের কাছে দুনিয়ার শেষ অবস্থা খুলে বলা ছিল উনার দায়িত্বভুক্ত। দুষ্টের সাথে শিষ্টের সদা চলমান সঙ্ঘাত যে দিনে দিনে চরমে পৌঁছবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই পরিস্থিতির কথাই বলা হয়েছে উল্লিখিত হাদিসে। ওই সময়ের দুষ্টজন হবে ইহুদিরা। বস্তুত সব কারের ইহুদি নেতৃত্বই ছিল দুষ্টচক্রে আবদ্ধ। শেষ সময়ে তা পৌঁছবে চরমে এবং তাদের হাতে শোষণের শিকার হবে মুসলিম জনগোষ্ঠী। আর সব সঙ্ঘাতেই শেষ বিজয়ী হয়ে থাকে শোষিত জনগণ তা সেই জনগণ যত দুর্বল বা যত ছোটই হোক না কেন। এটাই বিশ্ব স্রষ্টার চিরন্তন নীতি। কারণ তিনি নিজে সদা ন্যায়নিষ্ঠ তাই তিনি সহ্য করেন না কোনো অন্যায়, অনিষ্ঠ। সেটাই ঘটবে দুনিয়ার শেষ সময়ের জাতিগত সঙ্ঘাতেও এটাই ওই হাদিসের মূল বক্তব্য। পুরো ইহুদি জাতিকে ঘৃণা করার কোনো নির্দেশনা সেখানে নেই। তাই এর আলোচনায় ঘৃণা বিদ্বেষের প্রসঙ্গ টেনে আনা ছিল নিতান্তই অযৌক্তিক। উল্লেখ্য, কুরআন হাদিসের এমন খণ্ডিত প্রচারণা দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা ইসলামের শত্রুদের অতি পুরনো অভ্যাস। বস্তুত ওটাও ছিল তেমনই একটা অপপ্রয়াস, একটা অপচেষ্টাবিশেষ।

ঘটনা দুটো সামান্য মনে হতে পারে, কিন্তু আসলে তা ভাসমান হিমবাহের ছোট চূড়া মাত্র। একটি দুটো করে এমন ঘটনা ঘটানো হচ্ছে বিশ্বজুড়ে বহুদিন ধরে বিবিধ পদ্ধতিতে। আর সেটাই এখন পরিণত হয়েছে বিশ্বব্যাপী ইসলাম ও মুসলিমবিধ্বংসী উৎসবে। কিন্তু মুসলমানদের নামে ৯/১১-সহ আরো যা কিছু ঘটেছে বা ঘটছে বলে প্রচার করা হয়, তা ক্ষোভ আর আক্রোশের ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকেন্দ্রিক অনিয়ন্ত্রিত প্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অবশ্য সেটাও নিশ্চিত নয় কারণ সেগুলো যে কোনো বিশেষ শক্তির বিশ্বজনীন কোনো মহাপরিকল্পনার অংশ নয় তা-ও সন্দেহাতীত নয়। বিশেষ করে যে প্রক্রিয়ায় মুসলিম দেশগুলোতে যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং যেভাবে ডা: জাকির নায়েকদের মতো বিদ্বানদের নিষিদ্ধ করা হচ্ছে তাতে ইসলামবিরোধী বহুজাতিক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিন দিন আরো স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ফেসবুক লাইকের কারণে কেউ অপরাধী সাব্যস্ত হলে দুনিয়ার বহু নেতা-নেত্রীরই এখন জেলে থাকার কথা। কারণ টরেন্টোর মসজিদ ম্যাসাকারে জড়িত যুবকসহ সব বর্ণবাদী উগ্রপন্থীরাই তাদের প্রকাশ্য ফ্যান, তাদের মতাদর্শে প্রত্যক্ষভাবে উজ্জীবিত।

উপরন্তু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী আক্রোশ থেকে দুর্ঘটনা পৃথিবীতে কোনো বিরল বিষয় নয়, বিশ্বজুড়েই তা অতি সাধারণ। সহায়-সম্পদ, আত্মীয়-পরিজনসহ সর্বস্ব হারানো হতাশ ব্যক্তিদের এমন উন্মত্ততার সাথে পশ্চিমা দুনিয়া খুবই পরিচিত। কিন্তু এ জন্য কখনো অপরাধীর ধর্ম বা পুরো জাতিকে দায়ী করা হয় না। অথচ ঠিক সেটাই করা হচ্ছে মুসলমানদের ক্ষেত্রে। এটা যেন একটা অঘোষিত আন্তর্জাতিক আইন যার মূল কথা হচ্ছে দুনিয়াতে ঘটনা যাই ঘটুক, তার জন্য দায়ী মুসলমান আর তাদের ধর্ম ইসলাম। এই ধারা এখন এমনই চরমে পৌঁছেছে যে, পাবলিক প্লেসে ইনশাআল্লাহ, মাশাআল্লাহ বলতেও ভাবতে হচ্ছে। অচিরেই হয়তো সালাম-কালাম করাও বন্ধ করতে বলা হবে।

লেখক: মঈনুল আহসান, প্রবাসী সাংবাদিক

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.

Verified by MonsterInsights