সত্য ও সুন্দরের প্রতি আহ্বান

তাওবা কবুল হওয়ার ৩টি আলামত

যখন কোন ব্যক্তি তাওবার যাবতীয় শর্তপূরণ করে খালেসভাবে আল্লাহর দরবারে তাওবা করেন এবং গুনাহ মাপ চান, তখন আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই তার তাওবা কবুল করেন এবং তাকে ক্ষমা করে দেন।মহানবী (সা.) বলেন, ‘হে মানব জাতি, তোমরা আল্লাহর কাছে তওবা করো। কেননা, আমি প্রতিদিন শতবার তাঁর কাছে তওবা করি।’ (মুসলিম)

তওবার শর্ত হলো, পাপকাজ সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করতে হবে। পাপের জন্য অনুশোচনা করতে হবে, লজ্জিত ও অনুতপ্ত হতে হবে এবং ওই পাপ দ্বিতীয়বার করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।তবে যখন কোন ব্যক্তি তাওবা করে, তার তাওবা কবুল হল কিনা তার কিছু আলামত আছে। যেমন-
১. তাওবা করার পর লোকটির মধ্যে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। যেমন, সে এখন পূর্বের যে কোন সময়ের তুলনায় অধিক নম্র, ভদ্র ও নমনীয়, পূর্বের তুলনায় অধিক নেক আমল করে, খারাপ সঙ্গীদের সাথে মিশে না, ভালো লোকদের সাথে উঠা-বসা করে এবং গুনাহের কর্ম ও পাপাচার থেকে দূরে থাকতে চেষ্টা করে।
২. সব সময় আল্লাহর পাকড়াও ও আযাবের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত থাকে। এক মহুর্তের জন্যও সে আল্লাহর পাকড়াও থেকে নিজেকে নিরাপদ মনে করে না। সে মনে করে যে কোন সময় আল্লাহ আমাকে পাকড়াও করতে পারে। মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত আল্লাহর ভয় তার অন্তরে বিদ্যমান থাকে।
৩. লোকটি সব সময় ইতিপূর্বে যে সব অপরাধ করেছে, তার উপর অত্যন্ত লজ্জা অনুভব করতে থাকে। সে সব সময় আফসোস করতে থাকে আর বলতে থাকে-  হায় এ অন্যায় কাজটি আমি কেন করলাম! আমি যদি এ কাজটি না করতাম! কতই না ভালো হত! কারণ যে ব্যক্তি দুনিয়াতে তার অপকর্মের উপর লজ্জিত হবে না এবং আফসোস করবে না, আখেরাতে যখন সে আল্লাহর নেক বান্দাদের আমলের সাওয়াব ও বিনিময় এবং অবাধ্য বান্দাদের শাস্তি দেখতে পাবে, তখন সে লজ্জিত হবে এবং আফসোস করবে। কিন্তু তখন তার লজ্জা ও আফসোস কোন কাজে আসবে না।


লেখক: আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.

Verified by MonsterInsights