সত্য ও সুন্দরের প্রতি আহ্বান

কবিতার প্রতি রাসূল (সা.) এর অনুরাগ

সিরাত প্রবন্ধ

কবিতার প্রতি রাসূল (সা.) এর অনুরাগ

পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি ভাষার সাহিত্য চর্চা কবিতার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। আরবি ভাষাও তার ব্যতিক্রম নয়। কারণ আরবরা ছিল যাযাবর জনগোষ্ঠী। তাদের ধমনীর প্রতিটি ধারায় শৈল্পিক ও নান্দনিকতার ছাপ লক্ষ্যণীয় ছিল। তারা ছন্দের মাধ্যমে মনের মাধুরী মিশিয়ে কথা বলত। কবিতার মাধ্যমেই মানুষের মনন ও বোধ জাগিয়ে তুলে সত্য ও সুন্দরের দিকে মানুষকে সন্ধান দিত। হৃদয়ের গভীরে পরম প্রশান্তির  স্রোতধারা প্রবাহিত করত। রাসুল (সা.) ছিলেন একজন আরব জনগোষ্ঠীর মানুষ। আরব মরুভূমিতে কবিতার আবহে তিনি বেড়ে উঠেছেন। তিনি কবি ছিলেন না। কিন্তু কাব্যের প্রতি রাসুল (সা.)এর  অনুরাগ ছিল অপরিসীম। কেননা রাসূল (সা.) এর মাতা আমিনা ছিলেন যুগ ধর্মের দাবিতে একজন স্বভাব কবি। তার পিতা ‘আব্দুল্লাহ এর মৃত্যুর পর মাতা আমিনা যে  মর্সিয়া রচনা করেন সেটি ইতিহাসখ্যাত। তিনি রাসূল (সা.) কে জন্মদানের পূর্ব মুহূর্তে অনেক আশ্চর্যজনক স্বপ্ন দেখতেন। এতে তিনি আবেগ আপ্লূত হয়ে উন্নত শব্দের গাঁথুনিতে অনাগত সন্তানের জন্য কবিতার ছন্দে বলেছিলেন-

“হে সম্ভ্রান্ত বিশাল বংশের সন্তান! তোমার প্রতি আল্লাহ বরকত বর্ষণ করুন। আমি যা স্বপ্নে দেখেছি তা বাস্তবায়িত হলে আমি শত উঠ উৎসর্গ করব। প্রেরিত হচ্ছ তুমি জগতবাসীর কাছে। প্রেরণ করা হচ্ছে তোমাকে হিল ও হারামে”।

পিতৃব্য আবু তালিবের কবি খ্যাতিও ছিল সর্বত্র। আবুল ফিদা ইবন কাসির (রহ.) তাঁর আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়ায় উল্লেখ করেন চাচা আবু তালিব ভাতিজার নামকরণ প্রসঙ্গে কবিতায় বলেন-

“মর্যাদা দানের জন্য আল্লাহ নিজের নাম থেকে এ নাম বের করে এনেছেন। আরশের অধিপতি আল্লাহর নাম মাহমুদ আর ইনি মুহাম্মদ”।

বংশীয় পরম্পরায় কবিতার প্রতি রাসুল (সা.) এতটাই অনুরাগ ছিল যে, ইসলামের প্রাথমিক যুগে ইসলাম প্রচারে বিঘ্ন ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য কাফেরেরা যে কয়টি বিশেষণ দিয়েছিল তার মধ্যে  “কবি” শব্দটি অন্যতম। আসুন আমরা মূল প্রবন্ধের দিকে ফিরে আসি…

সাহিত্য মানব জীবনের আরশি স্বরূপ। আরশিতে যেমন মানব জীবনের হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, মাধুর্য-ঔদার্য সবকিছুই বহুরৈখিকভাবে প্রতিবিম্ব হয়‚ ঠিক তেমনি সাহিত্যের অন্যতম শাখা কবিতার মাধ্যমে সমাজ জীবনের বাস্তব  ইতিহাস-ঐতিহ্য‚ দ্বন্দ্ব-সংঘাত‚ ধর্মচিন্তা ও ইসলামি  দাওয়াতের বাস্তব প্রতিচ্ছবি লক্ষ্য করা যায়।  রাসূল (সা.) এর সীরাত পাঠে আমরা এ মর্মোপলব্ধিতে পৌঁছেছি যে‚ তিনি কবিতার প্রতি অনুরাগীই ছিলেন শুধু এমন নয় বরং কবিতা রচনায় উৎসাহ যুগিয়েছেন এবং ইসলামের দাওয়াতের একটি অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে কবিতাকে ব্যবহার করেছেন। রাসূল (সা.) দাওয়াতী মিশন নিয়ে সকল অশ্লীল কাজ ও অবান্তর কথাবার্তার চিরচারিত ধারাকে কুঠারাঘাত করে মানুষকে এক আল্লাহর দিকে আহবান করতে থাকেন। ঠিক তখনই একদল কবি যারা তাদের রসনা দিয়ে শত্রুতা ও বিদ্বেষের আগুন ছড়াতেন‚ রক্তের হোলিখেলা ও শৌর্যবীর্য প্রকাশে মত্ত ছিলেন তারা সকলেই রাসূল (সা.) এর ঘোরতর বিরোধী হয়ে উঠলেন। তারা ইসলাম ও রাসূলের ব্যঙ্গোক্তি করে কবিতা রচনা করতে থাকলেন। এদের মধ্যে আমর ইবনুল আস‚ আবু সুফিয়ান‚ আল হারিস ইবনে হিশাম‚ দিরার ইবনুল খাত্তাব ও আব্দুল্লাহ ইবনুয যিবারাহ প্রমুখ। তাদের রচিত সকল কবিতা রাসূল (সা.) কে পীড়া দিতে লাগল এবং অন্যদের জন্য ইসলাম গ্রহণে বাঁধা হয়ে দাড়াতে থাকল। তাই রাসূল (সা.) মুসলিম কবিদেরকে কবিতার মাধ্যমে সমুচিত জবাব দিতে এগিয়ে আসতে বলেন এই বলে–

“ যারা হাতিয়ারের দ্বারা আল্লাহ ও তার রাসূলের সাহায্য করেছে তাদেরকে কথা (কবিতা) দ্বারা সাহায্য করতে কে বাধা দিয়েছে?”

 

রাসূল (সা.) এর এ আহবান শুনে ইসলামের মান মর্যাদা ও মহাত্ন্য সমুন্নত রাখতে বৈপ্লবিক জাগরণের জন্য এগিয়ে এলেন কবি হাসসান বিন সাবিত‚ কা‘ব বিন মালিক ও ‘আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহার মত খ্যাতনামা তিনজন কবি।

কবিতা সম্পর্কে রাসুল (সা.) এর অনুরাগ এমন ছিল যে‚ কখনো কবিতার জন্য উচ্ছ্বাসিত প্রশংসা করেছেন। কোথাও বা আগ্রহভরে কবিতা শুনতে চেয়েছেন। কোথাও কবিতা আবৃত্তি করতে সাহাবি কবিদের নির্দেশ দিয়েছেন। আবার কোথাও কবিকে পুরস্কৃত করেছেন। আব্বাস ইবন মিরদাস (রা.) রাসূল (সা.) এর প্রশংসায় কবিতা আবৃত্তি করলে তিনি তাঁকে কাপড় উপহার দেন। আব্দুল্লাহ ইবন রাওয়াহাকে মদিনার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বানিয়েছিলেন। আস-সাবয়ু মু‘আল্লাকার বিখ্যাত কবি যুহায়র ইবন ‘আবী সুলমার পুত্র কা‘ব ইবন যুহাইর ও বুজায়র পিতার ওসিয়ত অনুযায়ী ইসলাম গ্রহণের নিমিত্তে (সা.)-এঁর কাছে হাজির হবার জন্য বের হন। কিন্তু বুজায়র কা‘বকে “আবরার” নামক স্থানে রেখে মদীনায় গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করলে কাব ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যঙ্গ করে কবিতা রচনা করেন। ফলে রাসূল (সা.) এর নিন্দা ও কুটুক্তি করে যে সকল কবিরা কবিতা রচনা করেছেন তিনি তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করলে প্রাণ ভয়ে জঙ্গলে পালিয়ে যান।

অবশেষে কাব আল্লাহর শাশ্বত বাণী ও রাসূলের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে  তওবা করে ইসলাম গ্রহণ করেন। সাথে সাথে বিখ্যাত কবিতা “বানাত সু‘আদ” পড়ে শোনান। যেমনঃ

“রাসুল(সা.) তো এক জ্যোতি‚ যার কাছ থেকে আলো পাওয়া যায়,

তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে খাপমুক্ত এক তীক্ষ্ণ  তরবারি”।

রাসূল (সা.) তার কবিতা শুনে এতটাই খুশী হন যে তাকে ক্ষমা করে  দিলেন এবং নিজের গায়ের পবিত্র চাদরখানী তাকে দিয়ে দিলেন। এজন্য এ কবিতার অন্য নাম “কাসিদাতুল বুরদাহ” বা “চাদরের কবিতা”। ইবনে হাজার আল ‘আসকালানী আল-ইসাবা গ্রন্থে উল্লেখ করেন পরবর্তীতে এ চাদরটি ‘আমীরে মু‘আবিয়া (রা.) ত্রিশ হাজার দিরহাম দিয়ে কিনে নেন। মুসলিম খলিফারা রাজ্যাভিষেকের দিনে বরকতের জন্য চাদরটি পরিধান করতেন।

রাসূল (সা.)  কবিতার প্রতি এতটাই অনুরাগী ছিলেন তিনি কবিদের উৎসাহিত করেছেন। তাদের পরিচর্যা করেছেন। তিনি কবিদের যে অতুলনীয় সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছিলেন তা ছিল তুলনাহীন। তিনি মসজিদে নববীর ভেতরে শুধুমাত্র কবিতা পাঠ করার জন্য একটা আলাদা মিম্বার তৈরী করে দেন। সেখান থেকে কবি হাসসান বিন্ সাবিত (রা.) সাহাবীদের কবিতা পাঠ করে শোনাতেন। কবিতার মাধ্যমে তিনি ইমানের প্রজ্জ্বলিত শিখার তীব্রতা বাড়িয়ে দিতেন। কবি হাসসান কবিতা আবৃত্তি শুরু করলে রাসূল (সা.) তার জন্যে এ বলে দু‘আ করেছিলেন-

‘হে আল্লাহ, রুহুল কুদ্দুস (জিবরাইল আ.) কে দিয়ে তুমি তাকে সাহায্য করো।”

রাসূল (সা.) এর সীরাত থেকে জানা যায় একবার রাসুল (সা.) দীর্ঘ সফরে বের হলেন। মরুভূমিতে উটের পিঠে বন্ধুর ও দূর্গম পথ পাড়ি দিচ্ছিলেন। গভীর রাতে হঠাৎ বলে উঠলেন, হাসসান কোথায়? হাসসান (রা.) এগিয়ে এসে বললেন‚ হে আল্লাহর রাসুল! এই তো আমি‚ রাসুল (সা.) বললেন, একটা কবিতা শোনাও। হাসসান বিন সাবিত (রা.) কবিতা পাঠ শুরু করলেন।

পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে কবিতার মাধ্যমেও রাসূল (সা) ইসলামের সুমহান আদর্শের দিকে মানুষকে আহবান করেছেনে। কবিতার জেহাদে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য সাহাবী কবিদের প্রতি মহানবীর কঠোর নির্দেশ ছিল। ড. শাওকী দায়ফ তারীখুল ‘আদাবীল ‘আরাবী গ্রন্থে উল্লেখ করেন হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘মহানবী (সা.) কে বলতে শুনেছি যে, তোমরা কাফির মুশরিকদের নিন্দা করে কাব্য লড়াইয়ে নেমে পড়। এটি তাদেরকে তীরের ফলার চেয়েও বেশী আহত করবে। ইব্নু রওয়াহা কে পাঠানো হলে রাসূল পুরোপুরি মুগ্ধ হতে পারলেন না। কা‘ব বিন মালিকও এলেন (নবী সা.সন্তুষ্ট হতে পারলেন না) । অবশেষে যখন হাসসান বিন সাবিত (রা.) এলেন  রাসূল (সা.) বললেন, সবশেষে তোমরা ওকে পাঠালে ? ওতো লেজের আঘাতে সংহারকারী সম্পূর্ণ তেজোদীপ্ত  সিংহ শাবক। কথা শুনে হাসসান আনন্দে জিহবা নাড়তে লাগলেন। বললেন‚ যিনি আপনাকে সত্যবাণী দিয়ে পাঠিয়েছেন তাঁর শপথ। এ জিহবা দিয়ে ওদের মধ্যে চামড়া তুলে ফেলার মত গাত্রদাহ সৃষ্টি করেই ছাড়ব।’

রাসূল (সা.) এর বিরুদ্ধে যখন কুরাইশরা কুৎসা রচনা করতে লাগলো তখন হাসসান জবাব দেয়ার জন্য উদগ্রীব থাকতেন। রাসূল (সা.) হাসসান কে বলেছিলেন, আমিও তো কুরাইশী তুমি কীভাবে কুরাইশদের প্রতি কুৎসা রচনা করবে? ইবনুল আছীর ‘উসদুল গাবা গ্রন্থে উল্লেখ করেন, তখন হাসসান পাণ্ডিত্যের ভাষায় কবিতার মাধ্যমেই জবাব দিয়েছিলেন-

“মথিত আটা থেকে যেভাবে চুল বের আনা হয়‚ আমিও তেমনি আপনাকে বের করে আনবো”। অর্থ্যাৎ কবিতার নিন্দাবাণে তাদেরকে জর্জরিত করব কিন্তু আপনি এ থেকে মুক্ত থকেবেন ।

কবি হাসসান বিন সাবিত সবসময় রাসূলের সাহচর্যে থাকতেন। রাসুলের জন্য তিনি তার নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তিনিও তাকে অনেক ভালবাসতেন। তার প্রতি রাসূল (সা.) এর ভালোবাসা এতোটাই প্রবল ছিল যে, একবার মিশরের রোমক সম্রাট ‘মুকাওকিস’ মেরী ও সীরীন নামে দুই অপরূপা সুন্দরীকে রাসূল (সা.) এর  খিদমতের জন্য  উপঢৌকন হিসেবে পাঠালে তিনি এর মধ্য থেকে মেরীকে নিজের খিদমতের জন্য রেখে দেন এবং  সীরীনকে তিনি হাসসান (রাঃ) এর সাথে বিয়ে দিয়ে দেন। সীরীনের গর্ভেই ‘আব্দুর রহমান ইবনে হাসসান জন্মগ্রহণ করেন। সে যুগে নিয়ম ছিল এমন যে‚ যুদ্ধে অংশ গ্রহন না করলে গণীমতের মালের অংশ প্রদান করা হবে না। কিন্তু হাসসান বিন সাবিত রাসূলের নির্দেশে গণীমতের মালের অংশ পেতেন। বায়তুল মাল থেকে তিনি প্রতিমাসে বৃত্তি পেতেন। মহানবী (সা.) অনেককেই জীবিতাবস্থায় জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছিলেন। কবিতা লেখার পুরস্কার হিসাবে জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন হাসসান বিন সাবিত (রাঃ)। শুধুমাত্র কবিতার প্রতি রাসূল (সা.)  এর অনুরাগের জন্যই তিনি সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন। তিনি যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন তিনি ইসলাম ও তাঁর রাসূলের জন্যই কবিতা লিখেছেন।  এজন্য তাকে “শায়েরুর-রাসূল” বা “রাসূলের কবি” উপাধি দেয়া হয়।

রাসূলের কবিতা ভক্তি সম্পর্কে মুসলিম শরীফে হযরত উবাই ইবনে কাব (রা.) হতে বর্ণিত আছে তিনি বলেন, রাসুল (সা.) শুধু যে কবিতার প্রশংসা করেছেন তাই নয় বরং অনেক জায়গায় বিভিন্নভাবে কবিতার প্রতি তাঁর আন্তরিকতা প্রকাশ করেছেন।

ইবনে আবদ রাব্বিহী,আল-ইকদুল ফারীদ গ্রন্থে উল্লেখ করেন শারীদ আস-সাকাফী (রা.)  বলেন‚ আমি একবার রাসুল (সা.)-এর পেছনে আরোহণ করেছিলাম। পথিমধ্যে রাসুল (সা.) বলেন‚ তোমার কী উমাইয়া ইবনে আবি সালত এর কবিতা জানা আছে? আমি জবাবে বললাম হ্যাঁ আল্লহর রাসূল।  রাসুল (সা.) বললেন আবৃত্তি করো। আমি একটি কবিতা আবৃত্তি করলাম‚ তিনি বললেন আরো কবিতা শোনাও। আরো একটি কবিতা আবৃত্তি করলে রাসুল (সা.) বললেন‚ আরো শোনাও। এমনি করে সেদিন আমি একশ’টি কবিতা আবৃত্তি করে রাসুল (সা.) কে শোনালাম।

অন্য হাদিসে হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.) বলেন‚ আমি রাসুল (সা.) এর সাথে একশ’টিরও বেশি মজলিশে বসেছি। মজলিশে রাসুলের (সা.) সাহাবিরা কবিতা আবৃত্তি করতেন। সাহাবিরা জাহেলি যুগের কোনো কোনো বিষয় নিয়ে কবিতা আবৃত্তি করতেন (কবিতার মাধ্যমে ঠাট্টা করতেন)‚ রাসুল (সা.) তখন চুপ থাকতেন‚ আবার কখনো সাহাবিদের হাসিতে যোগ দিতেন এবং মুচকি হাসতেন। এতে বুঝা যায়‚ রাসুল (সা.) বৈঠকে বসে সাহাবায়ে কিরামের আবৃত্তিকৃত অসংখ্য কবিতা শুনতেন এবং তাতে আনন্দও বোধ ।

মহিলা কবি খানসা ইসলাম গ্রহণের সময় রাসূল (সা.) কে কবিতা শুনালে তিনি অতিশয় মুগ্ধ হন এবং বলেন খুনাস!আরো শুনাও। এভাবে তিনি কবিদের নিকট থেকে কবিতা শুনতেন। রাসূল (সা.) এর সীরাতে এমন অসংখ্য বিষয়াবলী থেকে আমরা জানতে পারি কবিতার প্রতি তার অনুরাগ ছিল অপরিসীম।

আব্দুল মুমিন

শিক্ষক ও পিএইচডি গবেষক

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.

Verified by MonsterInsights