সত্য ও সুন্দরের প্রতি আহ্বান

কুরআন ও হাদিসের আলোকে ঈমান ভঙ্গের কারণ:

ইসলামী প্রবন্ধ

ঈমান ভঙ্গের কারণসমূহ

ম্মানিত পাঠক, আমরা অনেক সাধারন মুসলমান আছি যারা কিনা অজু ভঙ্গের কারণ, নামাজ ভঙ্গের কারণ ও রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কম বেশি জানি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো আমরা অধিকাংশ মুসলমান আছি যারা কিনা ঈমান ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে কিছুই জানি না। তাই সচেতন প্রতিটি ঈমানদার ব্যাক্তির জন্য আমরা ঈমান ভঙ্গের কারণ গুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

ঈমান ভঙ্গ বলতে কি বুঝায়?

প্রথমত:

ঈমান ভঙ্গ বলতে বুঝায় ঈমান গ্রহণের পর বিশ্বাসগত দিক থেকে এমন কোন কিছুর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা বা বিশ্বাস উঠিয়ে নেওয়া যা একত্ববাদ কিংবা রিসালাতের বাণীর সাথে সাংঘর্ষিক অথবা আমলগত দিক থেকে এমন কোন কাজ করা এবং একে বৈধ মনে করা যা শরীয়তের মূলভিত্তিকেই নষ্ট করে দেয় অথবা এমন কোন কথা বলা যা কিনা ঈমানের মৌলিক বিশ্বাসগুলোর বিপরীত হয়।

দ্বিতীয়ত:

ঈমান ভঙ্গ বলতে বুঝায়, বিশ্বাসে, কথায় কিংবা কাজে এমন কোন বিষয় প্রকাশ করা যা কিনা ঈমানের বিপরীত এবং এই বিপরীত বিষয়কে মনে প্রাণে ধারণ করা।

ঈমান ভঙ্গের কারণসমূহ:

ঈমান ভঙ্গের কারণসমূহ তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:

১. বিশ্বাসগত, ২. ভাষাগত, ৩. আমলগত

১. বিশ্বাসগত দিক থেকে ঈমান ভঙ্গের কারণ:

বিশ্বাস গত দিক থেকে কয়েকভাবে ঈমান ভঙ্গ হয়ে যায়। যথা :

১নং কারণ:

শিরক। শিরক এমন এক পাপ যার মাধ্যমে ঈমান নষ্ট হয়ে যায়। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন:

إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدِ افْتَرَى إِثْمًا عَظِيمًا

অর্থ: নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তাঁর সাথে করা শিরকের গুনাহ কখনো ক্ষমা করেন না, এ (শিরকের গুনাহ) ছাড়া তিনি  অন্য সকল গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দিবেন। যে শিরক করলো সে আল্লাহর প্রতি মহা অপবাদ দিলো। (সূরা নিসা: ৪৮)

অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন:

إِنَّهُ مَن يُشْرِكْ بِاللّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللّهُ عَلَيهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ

নিশ্চয়ই যে আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরীক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন। আর তার ঠিকানা হয় জাহান্নাম। ( সূরা মায়েদা: ৭২)

# শিরক হয় কয়েকভাবে:

ক. আল্লাহর সমকক্ষ কাউকে মনে করা।

খ. ইবাদতের ক্ষেত্রে তার সাথে অন্য কাউকে আহবান করা।

গ. পৃথিবীতে আল্লাহ তায়ালা তাঁর কার্য সাধন করার জন্য কারো সাহায্যের মুখাপেক্ষি মনে করা।

ঘ. আল্লাহ তায়ালা ব্যাতিত অন্য কেউ গায়েব জানে এ কথা বিশ্বাস করা।

ঙ. আল্লাহর দেওয়া বিধানের বিপরীত অন্য কারো বিধানকে উপযুক্ত মনে করা।

চ. আল্লাহ ব্যতিত কোন মৃত কারো কোন উপকার ক্ষতি করতে পারে এ বিশ্বাস করে।

২নং কারণ:

ইসলামের কোন ফরজ অথবা ওয়াজিব বিধানকে তিরস্কার বা অস্বীকার করা। যেমন কেউ বলল: যারা অভাবী তারাই রোজা রাখে। অথবা কেউ বলল যে, হজ্জ পালনের মাধ্যমে সম্পদের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়।

৩নং কারণ:

ইসলামে শরীয়ত যে সকল বিষয়কে হারাম করেছে সেগুলোকে জেনে-শুনে হালাল মনে করা। ইবনে কুদামা বলেন: যে সকল বিষয় হারাম হওয়ার ব্যাপারে উম্মাহ দৃঢ়ভাবে একমত পোষণ করেছে এবং মানুষের মাঝে এর হুকম স্পষ্ট এবং শরীয়তের স্পষ্ট দলিল দ্বারা জাবতীয় সন্দেহ দূর হয়েছে। যেমন: যিনা, সুদ, শুকরের মাংশ, ধর্ম নিরপেক্ষ্য মতবাদ ইত্যাদি।

৪নং কারণ:

আল্লাাহর কোন হুকুম আহকামের প্রতি সন্দেহ পোষণ করা অথবা তার পাঠানো কোন রিসালাতের প্রতি সন্দেহ পোষণ করা।

যেমন: কেউ পবিত্র কুরআনের কোন আয়াতকে অস্বীকার অথবা এর ব্যাপারে সন্দেহ সংশয় করা। যেমন আল্লাহ বলেন: এটি এমন একটি কিতাব, যার মধ্যে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। এটি মুত্তাকিদের জন্য হেদায়েত। (সূরা আল বাকারা: ০২)

অথবা আল্লাহর রাসূল স: এর সত্য হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ করা কিংবা তাঁর বর্ণিত কোন নির্ভরযোগ্য সংবাদের প্রতি সন্দেহ পোষন করা। যেমন: মিরাজ

৫নং কারণ

কাফেরদের কুফুরীকে  অস্বীকার না করা অথবা তাদের কুফুরীতে ভালো হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ করা কিংবা তাদের কুফুরী মতবাদকে সঠিক মনে না করা। যেমন: আল্লাহ তায়ালা বলেন:

وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ

“যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন বিধান তালাশ করবে তা তার থেকে কখনো গ্রহণ করা হবে না। আর সে হবে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্থদের একজন”। ( আলে ইমরান: ৮৫)

৬ নং কারণ

রাসূল (স:) এর আনুগত্য করা ওয়াজিব নয় এই ধারণা করা অথবা তার প্রদর্শিত শরীয়ত থেকে বের হয়ে যাওয়া কিংবা তাকে মানতে অস্বীকার করা বা না মানার ব্যাপারে অহংকার করা। যার কারনে ঈমান ভঙ্গ হয়ে যায়। যেমন আল্লাহ বলেন:

فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّىَ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لاَ يَجِدُواْ فِي أَنفُسِهِمْ حَرَجًا مِّمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُواْ تَسْلِيمًا

“ অতএব তোমার পালনকর্তার কসম! এরা ততক্ষণ পর্যন্ত   ঈমানদার হবেন না, যতক্ষণ না তারা আপনাকে তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ফয়সালার বিচারক মনে না করবে এবং আপনার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তাদের মনে কোন অনিহা বা দু:খ না থাকে এবং যে পর্যন্ত তারা আপনার বিচারকে সম্পূর্ণরূপে মনে প্রাণে মেনে নেয় ”। (সূরা নিসা: ৬৫)

৭নং কারণ:

আল্লাহর দ্বীনের বিধানগুলোকে উপেক্ষা করা। যেমন: আল্লাহ তায়ালা বলেন:

وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّن ذُكِّرَ بِآيَاتِ رَبِّهِ ثُمَّ أَعْرَضَ عَنْهَا إِنَّا مِنَ الْمُجْرِمِينَ مُنتَقِمُونَ

“তার চেয়ে বড় জালেম আর কে, যার নিকট আল্লাহর আয়াতসমূহ দ্বারা উপদেশ প্রদান করা হলে সে তা উপেক্ষা করে। নিশ্চয়ই আমি (এমন) অপরাধীদের শাস্তি দিবো”। (সূরা সাজদা: ২২)

৮নং কারণ:

বিশ্বাসগত মুনাফেকী: এই মুনাফেকী দ্বারা ঐ মুনাফিককে বুঝানো হয়নি যা সম্পর্কে রাসূল স: বলেছেন: মুনাফিকের আলামত তিনটি : কথা বললে মিথ্যা বলে, ওয়াদা করলে ভঙ্গ করে এবং আমানত রাখলে খিয়ানত করে। অন্য হাদিসে বলেছেন: ঝগড়া করলে গালি দেয়। বরং এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো: ঈমানের কোন একটি বিষয় নিয়ে মুনাফেকী করা। এদের ব্যাাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন:

وَإِذَا لَقُواْ الَّذِينَ آمَنُواْ قَالُواْ آمَنَّا وَإِذَا خَلَوْاْ إِلَى شَيَاطِينِهِمْ قَالُواْ إِنَّا مَعَكْمْ إِنَّمَا نَحْنُ مُسْتَهْزِئُونَ

আর যখন তারা ঈমানদারদের সাথে মিশে তখন বলে আমরা ঈমান এনেছি। আর যখন তারা শয়তানের সাথে একান্তে মিলিত হয় তখন তারা বলে আমরাতো তোমাদের সাথেই রয়েছি। আমরাতো মুসলমানদের সাথে উপহাস করি মাত্র। (সূরা বাকারা: ১৫)

২. ভাষাগত দিক থেকে ঈমান ভঙ্গের কারণ

অর্থাৎ ভাষাগত দিক থেকে কয়েকভাবে ঈমান ভঙ্গ হয়ে যায়। যথা :

১নং কারণ:

কোন ব্যক্তির কাছে এমন কোন বিষয় প্রার্থনা করা যার প্রার্থনা আল্লাহর সাথে সম্পর্কিত। যেমন: সন্তান চাওয়া,

২নং কারণ:

বিপদে পড়ে অনুপস্থিত কোন ব্যক্তির নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা । যেমন: কারো জ্বর হলে সে আল্লাহর পরিবের্তে তার পীর কে বলে, অমুক! আমাকে সুস্থতা দান করুন।

* উল্লেখ্য যে, ১ ও ২ নং কারণ শিরকের আওতায় পড়ে বিধায় ঈমান ভেঙ্গে যাবে।

৩নং কারণ

আল্লাহ তায়ালা, তাঁর রাসূলগণ, তাঁর কিতাব সমূহ অথবা তাঁর দ্বীনকে গালি দিলে ঈমান ভেঙ্গে যাবে।

৪নং কারণ:

আল্লাহ তায়ালা, তাঁর রাসূলগণ, তাঁর কিতাব সমূহ অথবা তাঁর দ্বীনকে নিয়ে উপহাস বা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করলে ঈমান ভেঙ্গে যাবে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন:

وَلَئِن سَأَلْتَهُمْ لَيَقُولُنَّ إِنَّمَا كُنَّا نَخُوضُ وَنَلْعَبُ قُلْ أَبِاللّهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُولِهِ كُنتُمْ تَسْتَهْزِؤُونَ

আর যদি তুমি তাদের কাছে জিজ্ঞেস কর, তবে তারা বলবে, আমরাতো কথার কথা বলেছিলাম এবং কৌতুক করেছিলাম। আপনি বলুন! তোমরা কি আল্লাহর সাথে, তাঁর হুকুম আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা বিদ্রুপ করেছিলে। তোমরা বাহানা করো না। ঈমান গ্রহণের পর তোমরাতো কাফের হয়ে গেছ। তোমাদের মধ্যে কাউকে যদি আমি ক্ষমা করেও দিই, তবে অবশ্যই কিছু লোককে আযাব দিব। কারণ তারা গোনাহগার ছিল। (সূরা তাওবা: ৬৫-৬৬)

৫নং কারণ:

দ্বীনের স্পষ্ট কোন বিষয়কে প্রয়োজন অনুসারে অস্বীকার করা। যেমন: আল্লাহর কোন একটি কিতাব, ফেরেস্তা, জ্বিন, পুনরুত্থান, কিংবা আখেরাত।

৬নং কারণ:

নবুওয়াতের দাবী করা। রাসূলুল্লাহ (স:) বলেন: আমি শেষ নবী আমার পরে আর কোন নবী আসবে না।

আল্লাহ তায়ালা বলেন:

 مَا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِنْ رِجَالِكُمْ وَلَكِنْ رَسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا

মুহাম্মাদ স: তোমাদের পুরুষদের কারো পিতা নন, বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষে নবী। আল্লাহ সবসময় জ্ঞাত। (আহযাব: ৪০)

হাদীসে রাসূল (স:) বলেন: ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত সংগঠিত হবে না যথক্ষণ পর্যন্ত প্রায় ত্রিশ জন মিথ্যাবাদী দাজ্জালের আগমন না ঘটবে। তাদের প্রত্যেকে দাবী করবে যে, সে আল্লাহর রাসূল। (বুখারী: ৩৪২৩, মুসলিম: ১৫৭)

৭নং কারণ

কেউ নিজে গায়েব জানে এই দাবী করলে।

রাসূল স: বলেন, যে ব্যক্তি কোন জ্যোতিষী বা গনেকের নিকট যায় এবং তার কথাকে সত্যায়ণ করে তাহলে সে মুহাম্মাদ (স) এর উপর যা নাযিল হয়েছে তা অস্বীকার করেছে। ( মুসনাদে আহমাদ:২/৪২৯) অন্য হাদিসে রাসূল (স) বলেন, যে ব্যক্তি কোন গনকের কাছে আসলো এবং তাকে কোন বিষয়ে জিজ্ঞেস করলো তাহলে তার চল্লিশ রাতের ইবাদত কবুল হবে না। (মুসলিম: ২২৩০)

যেমন: জ্যোতির্বিদ্যা, রাশি দেখা, ভাগ্য গনণাকারী, যাদু মন্ত্র শিখা

৩.আমলগত দিক থেকে ঈমান ভঙ্গের কারণ:

১. নং কারণ:

ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহর সাথে শিরক করা। সূরা যুমারে শিরককারীদের অজুহাত আল্লাহ তুলে ধরেন, তিনি বলেন:

  أَلَا لِلَّهِ الدِّينُ الْخَالِصُ وَالَّذِينَ اتَّخَذُوا مِنْ دُونِهِ أَوْلِيَاءَ مَا نَعْبُدُهُمْ إِلَّا لِيُقَرِّبُونَا إِلَى اللَّهِ زُلْفَى

অর্থাৎ- জেনে রেখ, আল্লাহর জন্যই একনিষ্ঠ দ্বীন। আর যারা আল্লাহকে ছাড়া অন্যদেরকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে তারা বলে, আমরা কেবল এজন্যই তাদের (দেবতা,পীর) ইবাদত করি যে, তারা আমাদের আল্লাহর নিকটবর্তী করে দিবে। (সূরা যুমার: ৩) অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন:

إِنَّهُ مَن يُشْرِكْ بِاللّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللّهُ عَلَيهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ

নিশ্চয়ই যে আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরীক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন। আর তার ঠিকানা হয় জাহান্নাম। ( সূরা মায়েদা: ৭২)

২. নং কারণ:

যাদু করারাসূল (স) সাতটি ধ্বংসকারী কাজ থেকে দূরে থাকতে বলেছেন, তার ভিতরে অন্যতম হলো যাদু করা। (সহীহ মুসলিম: ১৬৩) অন্য হাদিসে রাসূল (স) বলেন, তোমরা ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে বেঁচে থাকো,আর তা হলো আল্লাহর সাথে অংশীদারীত্ব স্থাপন করা এবং যাদু করা। (সহীহ বুখারী: ৫৭৬৪) রাসূল (স) আরো বলেন, যে ব্যক্তি গিরা দিয়ে তাতে ফুঁক দেয়, সে যাদু করলো, আর যে যাদু করলো, সে মুশরিক হলো। আর যে গলায় কিছু ঝুলায় তাকে সেই জিনিসের উপর ন্যস্ত করা হলো। (সুনানী নাসায়ী:৪০৭৯)

৩নং কারণ:

কোন মুশরিককে তার শিরকে কাজে সহায়তা করা অথবা কোন মুসলমানের বিরুদ্ধে কোন মুশরিককে সহায়তা করা। আল্লাহ তায়ালা বলেন:

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى أَوْلِيَاءَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ

হে মুমিনগন! তোমরা ইহুদী ও খ্রিষ্টানদেরকে তোমাদের বন্ধু ও অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু, (তোমাদের বন্ধু নয়)। তোমাদের মধ্যে যে তাদেরকে বন্ধ বা অভিভাবক বানাবে, সে তাদেরেই অন্তর্ভূক্ত। আল্লাহ জালেম সম্প্রদায়কে পথ দেখান না। (সূরা মায়েদা: ৫১)

সুতরাং প্রত্যেক সচেতন ঈমানদার ব্যক্তির উচিৎ, উল্লেখিত কারণগুলোর প্রতি লক্ষ রাখা এবং ঈমান ভঙ্গকারী জাবতীয় কাজ থেকে বিরত থাকা। আল্লাহ আমাদের তার দ্বীনের উপর অটল রাখুন।

লেখক, হাফেজ, মাও: নুরুল হুদা

কুরআনিক সায়েন্স এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম

খতিব, বায়তুল গফুর জামে মসজিদ, মাদামবিবির হাট, চট্টগ্রাম।

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.