সত্য ও সুন্দরের প্রতি আহ্বান

ইতিকাফ এর ফজিলত, নিয়ম, ও শর্ত সমূহ

ইতিকাফের নিয়ত ও নিয়ম

ইতিকাফ কি ও কিভাবে করতে হয়। কুরআনের আলোকে ও হাদিসের আলোকে ইতিকাফ করার নিয়ম ও শর্ত সমূহ নিয়ে আলোচনা করবো। ইতিকাফ ভাঙ্গার কারণগুলো কী কী তা ক্রমান্বয়ে আলোচনা করা হবে। ক্ষমা ও নাজাতের মাস রমজান। এই মাসে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা তার অসংখ্য বান্দাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। প্রত্যেক গুনাহগার বান্দা তার গুনাহ মাফ করিয়ে নেওয়ার এক সুবর্ণ সুযোগ পায় এই মাসে। এই মাসে গুনাহ মাফ করে নেওয়ার পরও যে তার গুনাহ মাফ করিয়ে নিতে পারবে না সে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ।

ইতিকাফ নিয়ে হাদিস :

হাদিসে এসেছে-
أَنّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَقَى الْمِنْبَرَ ، فَقَالَ : آمِينَ ، آمِينَ ، آمِينَ ” ، قِيلَ لَهُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، مَا كُنْتَ تَصْنَعُ هَذَا ؟ فَقَالَ : قَالَ لِي جِبْرِيلُ : رَغِمَ أَنْفُ عَبْدٍ أَدْرَكَ أَبَوَيْهِ أَوْ أَحَدَهُمَا لَمْ يُدْخِلْهُ الْجَنَّةَ ، قُلْتُ : آمِينَ ، ثُمَّ قَالَ : رَغِمَ أَنْفُ عَبْدٍ دَخَلَ عَلَيْهِ رَمَضَانُ لَمْ يُغْفَرْ لَهُ ، فَقُلْتُ : آمِينَ ، ثُمَّ قَالَ : رَغِمَ أَنْفُ امْرِئٍ ذُكِرْتَ عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْكَ ، فَقُلْتُ : آمِينَ

অর্থ –  “একদিন রাসূলুল্লাহ স: মিম্বারে উঠলেন, অতপর তিনি বললেন: আমীন! আমীন! আমীন! তাঁকে প্রশ্ন করা হলো (ইয়া রাসূলুল্লাহ) আপনার কি হয়েছে? তিনি বললেন: আমার নিকট জীব্রাঈল এসে বলেছে: তার চেহারা ‍ধুলায় মলিন হোক যে তার পিতা-মাতা দু’জনকে অথবা দু’জনের একজনকে পেয়েছেন কিন্তু সে ( তাদের সেবা করে) তার জান্নাত নিশ্চিত করতে পারেনি। আমি বলেছি আমীন। অতপর তিনি বললেন: তার চেহারা ‍ধুলায় মলিন হোক যার নিকট রমজান আসল অথচ সে তার গুনাহ মাফ করিয়ে নিতে পারেনি।আমি বলেছি আমীন। অতপর তিনি বললেন: তার চেহারা ‍ধুলায় মলিন হোক যার নিকট আপনার নাম উল্লেখ করা  হয়েছে অথচ সে আপনার উপর দরুদ পড়েনি। আমি বললাম আমীন।
হজরত জীব্রাঈল আ: ও রাসূলুল্লাহ স: এর অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়া তথা নিজকে রমজান মাসে গুনাহ থেকে পরিশুদ্ধ করার সবচেয়ে বড়  সুযোগ হলো ইতেকাফ করা। একজন মানুষ ইতেকাফে থেকে যেভাবে একাগ্রতার সাথে আল্লাহর সান্নিধ্য হাসিল করা সম্ভব অন্যকোন পদ্ধতি ততটুকু সম্ভব নয়। তাই ইতেকাফ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা আবশ্যক।

ইতেকাফ শব্দের অর্থ কি

কোন জিনিসের সাথে লেগে থাকা এবং নিজকে তার মধ্যে আটকে রাখা। চাই তা ভালো হোক বা মন্দ হোক।
আল্লাহ তায়ালা বলেন: (مَا هَذِهِ التَّمَاثِيلُ الَّتِي أَنْتُمْ لَهَا عَاكِفُونَ)
অর্থ – “এ মূর্তিগুলো যে গুলোর উপসনায় তোমরা লিপ্ত রয়েছো? (সূরা আম্বিয়া: ৩৫)

ইতেকাফ কাকে বলে 

শরীয়তের পরিভাষায়, মসজিদে নির্দিষ্ট মেয়াদে আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্তে অবিরাম অবস্থান করাকে ইতেকাফ বলে।

ইতিকাফ কত প্রকার

ইতিকাফ দুই প্রকার :

ক, ওয়াজিব ইতেকাফ
খ, সুন্নাত ইতেকাফ।

যে ইতেকাফ কোন ব্যক্তি নিজের ‍উপর আবশ্যক করে নেয় সেটাই ওয়াজিব ইতেকাফ। যেমন মানতের ইতেকাফ। পক্ষান্তরে যে ইতেকাফ একজন মুসলমান নিজের স্বাধীন ইচ্ছা অনুযায়ী আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ, সওয়াব অর্জন এবং রসূলুল্লাহ সা: এর অনুকরণ ও অনুসরণের উদ্দেশ্য করে থাকে , সেটাই সুন্নাত ইতেকাফ। তাছাড়া রমজানের শেষ দশদিনের ইতেকাফকেই সুন্নাত ইতেকাফ বলে।

ইতিকাফ কতদিন :  

রাসূল স: তাঁর জীবদ্দশায় রমজানের শেষ দশদিনের ইতেকাফ ছাড়েন নি। রমজানের ইতেকাফ হলো সুন্নাত ইতেকাফ। ২০ রমজান সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বে আল্লাহর সন্তষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে মসজিদে অবস্থান করা এবং শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর মসজিদ থেকে বের হওয়ায় হলো রমজানের সুন্নাত ইতেকাফ।
হাদিসে এসেছে: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يعتكف العشر الأواخر من رمضان
অর্থ – “রাসূলুল্লাহ স: রমজানের শেষ দশদিন ইতেকাফ করতেন” (বুখারী:২/৭১৩, মুসলিম: ২/৮৩১)
অন্য হাদীসে এসেছে: عن عائشة رضي الله عنها قالت: ” كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يعتكف العشر الأواخر من رمضان حتى توفاه الله , ثم اعتكف أزواجه من بعده
অর্থ- “উম্মুল মুমেনীন আয়েশা রা: বলেন: রাসূলুল্লাহ স: তাঁর ওফাতের পূর্ব পর্যন্ত রমজানের শেষ দশদিন ইতেকাফ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর তার স্ত্রীগন ইতেকাফ করেছেন” (বুখারী:২/৭১৩, মুসলিম: ২/৮৩১) ।

ইতেকাফের শর্ত

ইতেকাফকারীকে মুসলমান, ন্যায় ও অন্যায়ের বাছবিচারের ক্ষমতাসম্পন্ন, মাসিক ও প্রসবোত্তর স্রাব থেকে এবং বীর্যস্থলনজনিত অববিত্রতা থেকে মুক্ত হতে হবে।
ইতেকাফের আরকান: ইতেকাফের মূল স্তম্ভ হলো, আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে বা নিয়তে মসজিদে অবস্থান করা। মসজিদে অবস্থান না করলে বা নিয়ত না করলে ইতেকাফ হবে না।

ইতেকাফ এর নিয়ম কি :   

ইতেকাফ থাকার মাধ্যমে একজন রোজাদার অধিকতর ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করার সুযোগ লাভ করে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়া মানুষের উপর সিয়াম ফরজ করেছেন। আর রাসূল স: বিভিন্নভাবে সিয়ামের ফজিলত বর্ণনা করেছেন। বিশেষভাবে আল্লাহ তায়ালা ও রাসূলুল্লাহ স: রমজানের শেষ দশদিনের ফজিলতের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। পবিত্র কুরআনে এই বিষয়টিকে স্পষ্ট করে আল্লাহ তায়ালা একটি পূর্ণাঙ্গ সূরা নাযিল করেছেন।

আল্লাহ তায়ালা বলেন:
إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ * وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ * لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ * تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِمْ مِنْ كُلِّ أَمْرٍ * سَلَامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ
অর্থ – “নিশ্চিয়ই আমি একে ( কুরআনকে) কদরের রাত্রিতে নাযিল করেছি। ( হে রাসূল) আপনি কি জানেন, কদরের রাত্রি কি? – কদরের রাত হাজার মাসের চাইতেও বেশী ভালো।- ফেরেশতারা ও রূহ৩ এই রাতে তাদের রবের অনুমতিক্রমে প্রত্যেকটি হুকুম নিয়ে নাযিল হয়। এ রাতটি পুরোপুরি শান্তিময় ফজরের উদয় পর্যন্ত” ( সূরা কদর: ১-৫)
অন্য আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা ইরশাদ করেন:  إنا أنزلناه في ليلة مباركة إنا كنا منذرين فيها يفرق كل أمر حكيم
অর্থ “ নিশ্চয়ই আমি তা ( কুরআন) নাযিল করেছি এক মোবারকময় রাত্রিতে, নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। সে রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়” (সূরা দুখান: ৩-৪)।

মহিলাদের ইতিকাফ করার নিয়ম :

রাসূলুল্লাহ স: ইরশাদ করেন: مَن قام ليلة القدر إيمانًا واحتسابًا، غُفر له ما تقدَّم من ذنبه
অর্থ “ যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতেসাবের সাথে কদরের রাত্রিতে কিয়্মুল্লাইল (নফল সালাত) আদায় করবে, তার পূর্বের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। ( সহীহ বুখারী:১৮০২)

রাসুল কতদিন ইতিকাফ করতেন :

উপরোক্ত কুরআন ও হাদিস থেকে এই কথা পরিস্কার যে রমজানের শেষ দশদিনে এমন এক মোবারক ও বরকতময় রাত রয়েছে যাতে পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয়। আবার এই রাতকেই ভাগ্য রজনী বলা হয়। তাছাড়া রাসূল স: এই রাতে কিয়ামুল্লাইল পালনকারীর সকল গুনাহ ক্ষমা হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এমন বরকতময় রাত লাভ করার নিশ্চয়তা একমাত্র ইতেকাফকারীগণই পেতে পারেন। এই জন্যই রাসূল স: প্রত্যেক রমজানের শেষ দশদিন ইতেকাফ করতেন এবং যে বছর তিনি ইন্তেকাল করেন সেই বছর তিনি বিশ দিন ইতেকাফ করেন। তাই এটি দৃঢ়ভাবে বলা যায় যে লাইলাতুল কদর বরকত ও আল্লাহর নিকট থেকে ক্ষমা পাওয়ার জন্যই ইতেকাফ।

ইতেকাফ অবস্থায় যে কাজ বৈধ

পারিবারিক কাজ :

পরিবার পরিজনকে বিদায় জানাতে ইতেকাফের জায়গা থেকে বের হওয়া। সাফিয়া রা: বলেন:“ রাসূলুল্লাহ স: ইতিকাফে ছিলেন। আমি রাত্রে তার সাথে সাক্ষাত করতে এলাম। তাঁর সাথে কথাবার্তা বলার পর বেরিয়ে বাড়ি ফিরে চললাম। রাসূলুল্লাহ স: আমাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমার সাথে চললেন। সাফিয়ার বাসস্থান ছিল উসামা বিন যায়েদের বাড়িতে। এ সময় দুই আনসার ব্যক্তি তাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা রাসূল স: দেখে তাড়াহুড়া করে চলে যাওয়ার উপক্রম করলো। রাসূল স: বললেন: একটু ধীরে যাও। শোন, এ হচ্ছে (আমার স্ত্রী) সাফিয়া বিনতে হুয়াই।
তারা বলল: হে রাসূলুল্লাহ, সুবহানাল্লাহ! ( অর্থাৎ  আমরা কি কখনো আপনার সম্পর্কে এমন ধারণা পোষণ করতে পারি যে, আপনি কোন বেগানা মহিলার সাথে সাক্ষাত করেছেন?) রাসূলুল্লাহ স: বললেন: শয়তান মানুষের রক্তের সাথে শিরা উপশিরা দিয়ে চলাচল করে। তাই আমার অশংকা হলো, সে তোমাদের দুজনের মনে কোন কুধারণা ঢুকিয়ে দিতে পারে। (সহীহ বুখারী:২৮৮৭, মুসলিম: ৪০৪৮) ইমাম খাত্তাবী বলেন: এ হাদিস দ্বারা বুঝা যায় ইতিকাফকারী শরীয়তের দৃষ্টিতে জরুরী কোন কাজে বেরুলে ইতিকাফ ভঙ্গ হবেনা।

পরিচ্ছন্নতা :

চুল আঁচড়ানো,মাথা মুড়ানো, নখ কাটা, শরীর থেকে ময়লা সাফ করা, উত্তম পোশাক পরিধান করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা।أن عائشة رضي الله عنها زوج النبي صلى الله عليه وسلم قالت وإن كان رسول الله صلى الله عليه وسلم ليدخل علي رأسه وهو في المسجد فأرجله وكان
অর্থ – “আয়েশা রা: বলেন: রাসূলুল্লাহ সা: মসজিদে ইতিকাফে থাকা অবস্থায় কক্ষের ফাঁকা স্থান দিয়ে আমার দিকে মাথা বাড়িয়ে দিতেন, আর আমি তাঁর মাথা ধুয়ে দিতাম” (বুখারী: ১৯২৫) ।

অনিবার্য কাজ :

অনিবার্য  প্রয়োজনে মসজিদ থেকে বের হওয়া: أن عائشة رضي الله عنها زوج النبي صلى الله عليه وسلم قالت وإن كان رسول الله صلى الله عليه وسلم ليدخل علي رأسه وهو في المسجد فأرجله وكان لا يدخل البيت إلا لحاجة إذا كان معتكفا
অর্থ “আয়েশা রা: বলেন: রাসূলুল্লাহ সা: মসজিদে ইতিকাফে থাকা অবস্থায় কক্ষের ফাঁকা স্থান দিয়ে আমার দিকে মাথা বাড়িয়ে দিতেন, আর আমি তাঁর মাথা ধুয়ে দিতাম তিনি মানবীয় কারন ছাড়া ঘরে ঢুকতেন না” (বুখারী: ১৯২৫) ।

মসজিদে অবস্থান :

‍মসজিদের ভেতরে পানাহার করা ও ঘুমানো ইতিকাফকারীর জন্য বৈধ। তবে তাকে মসজিদের পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা সংরক্ষণ করতে হবে।
৫. ইতিকাফ কারীর যদি কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থাকে এবং তা দেখাশুনা করার অন্য কোন লোক না থাকে তবে তিনি মসজিদে থেকেই সংক্ষেপে তা সারিয়ে নিতে পারবেন। তাছাড়া বিয়ে, ক্রয়-বিক্রয় ইত্যাদির চুক্তি সম্পাদন করাও তার জন্য বৈধ। (ফিকহুস সুন্নাহ)

যে কারনে ইতিকাফ বাতিল হয় :

নিম্নোক্ত কাজ গুলোর কারনে ইতিকাফ বাতিল হয়ে যায়:
১. ‍বিনা প্রয়োজনে ইচ্ছাকৃতভাবে মসজিদের বাহিরে যাওয়া, ‍যদিও তা অল্প সময়ের জন্য হোকনা কেন।
২. মুরতাদ হওয়া। কেননা তা আল্লাহর বন্দেগীর বিপরীত।
৩. পাগল মাতাল হওয়ার কারণে বুদ্ধি হারিয়ে যাওয়া।
৪. মাসিক বা প্রসবত্তর ‍ঋতুস্রাব শুরু হওয়া।
৫. স্ত্রী সহবাস করা। আল্লাহ তায়ালা বলেন: وَلَا تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ ۗ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَقْرَبُوهَا “ তোমরা মসজিদের ইতিকাফ থাকা অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করোনা” (সূরা বাকারা: ১৮৫)

রমজানে ইতিকাফ অবস্থায় করণীয় :

অধিক কিয়ামুল্লাইল করা
২. বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করা।
৩. বেশি বেশি তাওবা করা।

হাদিসে এসেছে:
عَن عَائِشَةَ، قالَتْ: قُلْتُ: يا رَسُولَ اللهِ، أرَأيْتَ إنْ عَلِمْتُ أيُّ لَيْلَةٍ لَيْلَةُ الْقَدْرِ، مَا أقُولُ فِيها؟ قَالَ: قُولي: اللَّهُمَّ إنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ العَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
অর্থ “আয়শা রা: থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল আমি যদি লাইলাতুল কদর কোনটি চিনতে পারি তাহলে সেই রাতে কি পড়বে?। তিনি বললেন তুমি পড়বে: اللَّهُمَّ إنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ العَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي  “ হে আল্লাহ, তুমি ক্ষমাশীল,ক্ষমা করতে ভালোবাস, তাই আমাকে ক্ষমা কর” ( জামে তিরমিজি: ৩৪৫৯) সুতরাং আল্লাহর নৈকট্য লাভে সামর্থবান সকলেই ইতেকাফ করি। ইতিকাফের মূল উদ্দেশ্য হাসিলে যথাযথ চেষ্টা করি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের তাওফিক দান করুন। আমীন।

লেখক,
হাফেজ মাওলানা নুরুল হুদা
কুরআনিক সায়েন্স এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম
খতিব, বায়তুল গফুর জামে মসজিদ, মাদামবিবির হাট, চট্টগ্রাম।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.

Verified by MonsterInsights