সত্য ও সুন্দরের প্রতি আহ্বান

ইসলামি জীবনদর্শনে নয় যে ত্রুটি পশ্চিমা সমাজদর্শনে

জীবনের শেষের দিকে ইসলামের নবী সা: পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর শাসক আবিসিনিয়ার নাজ্জাসী, পার্শিয়ার দ্বিতীয় খসরু (৫৯০-৬২৮) এবং পূর্ব রোমান সম্রাট হেরাকিয়াসের (৬১০-৬৪১) কাছে সহজ কিন্তু দ্ব্যর্থীহীন ভাষায় তাদের নিজের ও নিজের প্রজাদের স্বার্থে ইসলাম গ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়ে পত্র দিয়েছিলেন।

এখান থেকে ইসলামের সাথে পশ্চিমের যে কূটনৈতিক সূত্রবন্ধন রচিত হলো তা কোনো দিন ছিঁড়ে তো যায়নি, এমনকি সামান্য শিথিলও হয়নি। এ সম্পর্ক অক্ষুন্ন থাকে লাগাতার ১৪০০ বছর। এই দীর্ঘ সময়কালে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে যেমন ইসলামের সাথে পাশ্চাত্যের প্রচুর লেনদেন হয়েছে তেমনি রাজনৈতিকভাবেও হয়েছে প্রচুর আদান-প্রদান, তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, এই রাজনৈতিক আদান-প্রদানের মধ্যে সামরিক দ্বন্দ্বই বরাবার প্রাধান্য পেয়ে এসেছে।

ঐতিহাসিকভাবে খ্রিষ্টান-ইসলামি দ্বন্দ্বের পটভূমিতে পূর্ব আর পশ্চিম অথবা পাশ্চাত্য আর প্রাচ্য সভ্যতার মধ্যে সে সম্পর্ক রচিত হয়েছে তা কোনো দিনই পরস্পরের পরিপূরক ছিল না বরং ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। পারস্পরিক ভীতি আর অবিশ্বাসের স্মৃতিকে বুকে নিয়ে এই দু’টি সভ্যতা বরাবরই একে অপরকে সন্দেহের চোখে দেখে এসেছে, যা মাঝে মধ্যে প্রকাশ্য শত্রুতায় রূপ নিয়েছে। এখনো এরা পরস্পরের বিরুদ্ধে সদা জাগ্রত প্রহরী।

ইতিহাসের গতিধারায়, বিশেষত যেরূপ দ্রুত গতিতে ইসলামি সাম্রাজ্যের প্রাথমিক সম্প্রসারণ ঘটেছিল, সেই ধারা ও গতির প্রতি লক্ষ্য রেখে পাশ্চাত্য ও ইসলামি সভ্যতার যে পারস্পরিক দ্বান্দ্বিক রূপ, তার কারণ ব্যাখ্যা করা যায়। হজরত মুহাম্মদ সা:-এর ওফাতের সামান্য কয় বছরের মধ্যেই সিরিয়া ও ফিলিস্তিন (৬৩৪-৩৫), পার্শিয়া (৬৩৭), মিসর (৬৪৩-৬৪৯), স্পেন (৭১১ খ্রি:) ইসলামি সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। ৬৮৮ খ্রিষ্টাব্দে যখন প্রথমবারের মতো কনস্টান্টিনোপল মুসলমানদের দ্বারা অবরুদ্ধ হয় তখনো হজরত মুহাম্মদ সা:-এর একজন সাক্ষাৎ সাহাবা আবু আইয়ুব আল আনসারী জীবিত ছিলেন এবং তিনি এই যুদ্ধের পতাকা বাহক ছিলেন।

প্রাথমিক যুগের সামরিক সাফল্যের এই অতি দ্রুতগতির কারণেই সম্ভবত পাশ্চাত্য জগৎ এখনো মনে করে যে, ইসলাম একটি আক্রমণাত্মক ধর্ম-বিশ্বাস, যা তার সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে পাশবিক শক্তি (Fire and Sword)-এর ওপরই নির্ভরশীল মাত্র। এটা অবশ্য সত্য যে সামরিক শক্তির দিক দিয়ে তৎকালীন খ্রিষ্টান এবং ইরানি রাষ্ট্রে শক্তিগুলো নতুন বিশ্বাসে বলীয়ান মুসলমানদের মোকাবেলায় দাঁড়াতেই পারেনি। কিন্তু পাশাপাশি এটাও সত্য যে, এত বিশাল এলাকা তাদের জনসাধারণের সমর্থন তারা আদায় করতে না পারতেন। শুধু নৈতিক সমর্থনই নয় বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় জনসাধারণ একযোগে মুসলিম বাহিনীর সাথে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছিল। ইতিহাসই এই সত্যের সাক্ষ্য বহন করে।

এ ব্যাপারে ব্যাপক সত্যানুসন্ধানে ব্রতী হলে তার ফলাফল পাশ্চাত্য সভ্যতার জন্য খুব একটি সুখকর হবে না। পশ্চিম ও পূর্ব আফ্রিকার সংস্কারপন্থী খ্রিষ্টানেরা তো বটেই এমনকি এরীয় এবং ডোনাটপন্থীরাও ইসলামি শাসনকে সাগ্রহেই গ্রহণ করেছিল, কারণ তারা যিশুখ্রিষ্টের অবতারত্ব বা খ্রিষ্টীয় ত্রিত্ববাদ কোনোটিতেই বিশ্বাসী ছিল না। একাদশ শতকে সেনেগাল, মালি, ঘানা শাদে তরবারি বা অগ্নি ছাড়াই ইসলামের প্রসার ঘটে এবং এখনো আফ্রিকাজুড়ে এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

এ সত্য তো অস্বীকার করা যাবে না যে, সেকালে মুসলিম সমাজের দুনিয়া কাঁপানো গতিশীলতা বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক জগতে এক সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছিল। গণিতশাস্ত্র, চু ও দৃষ্টিবিজ্ঞান, শল্যচিকিৎসা, স্বাস্থ্যবিদ্যা, অভিধান শাস্ত্র, ইতিহাস, সমাজবিদ্যাসহ এরিস্টটলীয় দর্শন শাস্ত্রের পুনরুদ্ধার যা পাশ্চাত্য সমাজ একেবারে ভুলেই গিয়েছিল। নবম শতাব্দী থেকে শুরু করে একাধারে চতুর্দশ শতক পর্যন্ত ইসলামি সংস্কৃতি ঔজ্জ্বল্যের কাছে পাশ্চাত্য পুরোপুরি নিষ্প্র্র্রভ ছিল। সেকালের আলরাজি (Rhazes), আল-বিরুণী, ইবনে রুশদ (Averroes), ইবনে সিনা (Avicenna), ইবনে খালদুন, ইবনে বতুতা বা ইবনে খোয়ারিজমী-এর সমকক্ষ কারো নাম পাশ্চাত্য সমাজ থেকে উল্লেখ করা যায় না।

নিজ নিজ ক্ষেত্রে এদের সমকক্ষ কাউকে দাঁড় করাতে না পারলেও পশ্চিমা সভ্যতা মুসলমানদের সামরিক শক্তিকে তো অবশ্যই রুখে দাঁড়াতে পেরেছিল, প্রথমবার ৭৩৩ খ্রিষ্টাব্দে ফ্রান্সের দ্বারপ্রান্তে এবং দ্বিতীয়বার পর্তুগিজ-স্পেনীয় পুনরুদ্ধার অভিযানের সময়। শুধু তাই নয় খ্রিষ্টীয় রাজন্যবর্গ একাদশ থেকে ত্রয়োদশ শতক পর্যন্ত ক্রুসেডের আকারে পাল্ট আক্রমণও তো পরিচালিত করতে পেরেছিল। এই পর্যায়ে ক্রমে বাইজেন্টাইন খ্রিষ্টানেরা ল্যাটিনদের (অথবা ফ্রাঙ্ক) সাথে মিলিত হয়ে ‘অগ্নি ও তরবারি’ একটি খ্রিষ্টীয় সংস্করণও তো আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছিল, যার পরিসমাপ্তি ঘটে ১২০৪ সালের কনস্টান্টিনোপলকে পরাস্ত করার মধ্য দিয়ে। এরপর আবার আসে পশ্চিমাদের তাড়া খাওয়ার পালা, এবার অটোম্যান তুর্কিদের হাতে, যারা ১৪৫৩ সালে আবার কনস্টান্টিনোপল অধিকার করে এবং বলকান এলাকা দিয়ে পশ্চিমা শক্তিকে সুদূর ভিয়েরা পর্যন্ত (১৫২৯ এবং ১৬৮৩) ভাড়া করে নিয়ে যায়।

অষ্টাদশ শতকে এসে মনে হলো যেন ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার সেই পৌরাণিক কাহিনীর ইতি হতে চলেছে। সেই সময় থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত এই দু’টি সভ্যতা যেন নাটকীয়ভাবে একে অপরের থেকে ইউরোপ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এমন জোর কদমে এগিয়ে যেতে থাকে যে গোটা পৃথিবী তার অনেক পেছনে পড়ে যায়। এই সময়ে অর্জিত তাদের অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রযুক্তিজাত সাফল্যকে যেন হঠাৎ করেই খ্রিষ্টীয় সমাজ-সভ্যতার উৎকর্ষ বলে প্রতীয়মান হলো।

ঠিক একই সময় ইসলামি সমাজ সভ্যতা অযোগ্যতা, আলস্য এবং অধঃগতির এমনই এই পর্যায়ে প্রবেশ করল যে, ঊনবিংশ শতকের পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদের ঔপনিবেশিক দাসত্ব যেন সময়ের অমোঘ বিধানে পরিণত হলো এবং অবশেষে ১৯২৪ সালে কামাল আতাতুর্ক খিলাফত বিলুপ্ত করে যে মারণাঘাত হানলেন তা যেন ছিল মুসলিম সভ্যতার অযোগ্যতার অবশ্যম্ভাবী পরিণতি।

এভাবে বর্তমান (বিংশশতক) শতকের মধ্যভাগ থেকে পশ্চিমা সভ্যতা, যেন বিশ্বের ‘অবশ্য অনুকরণীয় সংস্কৃতি’ obligatapory example (heodore von Laune) তে পরিণত হলো এবং বাকি বিশ্বসমাজের পশ্চিমাকরণ যেন সময়ের দাবিতে পরিণত হলো। মনে হতে লাগল সিউল থেকে সুদূর সোহো পর্যন্ত ভবিষ্যতের মানুষ যেন বিশ্বব্যাপী শুধু জিন্স পরবে, হ্যামবার্গার খাবে, পান করবে কোকাকোলা আর মার্লবোরো সিগারেট, ইংরেজিতে কথা বলতে, সিএনএন (CNN) দেখবে এবং একটি গণতান্ত্রিক দেশে বাউ হাউজ (Bauhaus) টাইপের বাড়িতে বাস করবে এবং সম্ভবত একটি খ্রিষ্টান চার্চের সদস্য হিসেবে তালিকাভুক্ত হবে।

অবশ্য যদিও আজ পর্যন্ত ইসলামি সভ্যতার অধঃপতন সম্পর্কে আলোচনা-সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে। তবে আমার ব্যক্তিগত মতে এর পেছনে তিনটি মূল কারণ নিহিত রয়েছে।

প্রথমত, ১২৩৬ খ্রিষ্টাব্দে কার্ডোভা এবং ১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দে বাগদাদের পতনের মধ্য দিয়ে অর্জিত খ্রিষ্টীয় ও মঙ্গোলীয় শক্তির সামরিক সাফল্য চতুর্দশ শতকে ইসলামের সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক স্নায়ুতন্ত্রকে কার্যত অবশ করে দেয়। আজ পর্যন্ত ইসলামি বিশ্ব এই মারণাঘাতের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি।

দ্বিতীয়ত, চতুর্দশ শতকে ইসলামি বিশ্বের ধর্মীয় ও আইন-বিজ্ঞানের পরিমণ্ডলে একটি ধারণা বদ্ধমূল হয়ে যায় যে, যা কিছু জানার ছিল তা ইতোমধ্যেই জানা হয়ে গিয়েছে এবং জ্ঞানের যে মূল উৎস রাসূল সা:; ভৌগোলিক ও সাময়িক বিচারে তার থেকে যারা নিকটবর্তী ছিলেন- তাঁরাই বেশি জানতেন। এভাবে ইসলামি মানুষেরাও পশ্চাৎদ্রষ্টা হয়ে পড়তে থাকেন। এ কারণে প্রকৃতি বিজ্ঞানের চর্চা বন্ধ হয়ে যায় ও অফুরন্ত সম্ভাবনাময় ইসলামি চিন্তা জগৎ অকাল বন্ধ্যত্ব বরণ করে ক্রমেই অতীতকালে লব্ধ জ্ঞানের নকলানুসারী (তকলিদপন্থী) হয়ে ওঠে, যা স্বতই ইসলামপরিপন্থী।

তৃতীয় এবং সম্ভবত, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণটি কিন্তু ইসলামি জগতের অভ্যন্তরীণ নয় এবং পাশ্চাত্য সমাজের অভ্যন্তরস্থ বাস্তবতা থেকে উদ্ভূত। অনস্বীকার্য যে ঊনবিংশ শতক থেকে এ পর্যন্ত অর্জিত পাশ্চাত্যের জাগতিক সাফল্যের পেছনে তাদের নিজস্ব খ্রিষ্টধর্মের সাথে ক্রমে সম্পর্কচ্ছেদের একটি অদৃশ্য সূত্রবন্ধন রয়েছে। তাদের এই ঈশ্বরবিহীন শতকের বৈজ্ঞানিক ও অর্থনৈতিক সাফল্যের পেছনে রয়েছে এক ধরনের ইহকালসর্বস্ব বাস্তবতার দর্শন, সেটাকে সরাসরি নাস্তিকতা না বলা গেলেও অনায়াসে এক ধরনের জড়বাদ, অথবা ‘থাকলে আছে নইলে নাই’ ধরনের মতবাদ বলে আখ্যা দেয়া যায়, দার্শনিক জগতে ফুয়েরবাখ, মার্কস, ডারউইন, নিৎসে এবং ফ্রয়েড ছিলেন যার পুরোধা। তখন থেকেই বিজ্ঞানভিত্তিক বুদ্ধিবাদ, যা শুধু দৃশ্যমান স্পর্শযোগ্য ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বাস্তবতাকেই গ্রহণযোগ্য বলে বিশ্বাস করে পাশ্চাত্য সভ্যতার যোগ্যতার একমাত্র মাপকাঠি বলে গৃহীত ও সমাদৃত হতে থাকে। W. Freund যাকে magic of death repression বলে আখ্যাতি করেন, সেই জাদুমন্ত্র বলে ঈশ্বরে বিশ্বাসকে একটি a la Swinburn ধরনের সম্ভাব্যতার তত্ত্ব হিসেবে সহ্য করা হলেও পারলৌকিক বিষয়-বিশ্বাসাদিকে অস্পৃশ্য-অচ্ছুৎ বলে ছুড়ে ফেলা হয়।

বিংশ শতকের অগ্রযাত্রায় এসব তাত্ত্বিক বিশ্বাস ক্রমে সাধারণ মানুষের মন-মানসকে অধিকার করে বসে। তথাকথিত ‘মুক্তবুদ্ধি’র সামাজিক স্বীকৃতি এবং জৈবিক স্বার্থ সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে তারা এমন একটি গণতান্ত্রিক ও আপাতনাস্তিক সমাজে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, যেখানে ক্ষমতা, অর্থ-বিত্ত, দৈহিক সৌন্দর্য, জনপ্রিয়তা এবং যৌনতাই একমাত্র উপাস্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। তারা বিশ্বাস করে যে, একমাত্র বিজ্ঞানই জীবনের প্রকৃত অর্থকে খুঁজে বের করতে পারে এবং বিজ্ঞানের প্রতিপক্ষ হিসেবে যে ধর্মবিশ্বাস এখনো কোনোমতে টিকে আছে তা ক্রমেই অযৌক্তিক খ্রিষ্টধর্মবাদের সাথে বিদূরিত হয়ে যাবে।

যুগপৎ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে শাশ্বত নীতিবোধের এই অবক্ষয়, এই অশ্লীল জড়বাদ মানুষকে করে তুলেছে লোভী ও ইন্দ্রিয়পরায়ণ, যার আকাক্সার কোনো শেষ নেই, নিজস্ব আবেগ-অনুভূতিই যাদের নৈতিকতার একমাত্র মানদণ্ড এবং যারা আশা করে যে, তাদের সর্বগ্রাসী প্রগতি পৃথিবীতে তাদের জন্য একটি ‘ভোক্তার স্বগ’Ñ রচনা করবে পরলৌকিক স্বর্গের আর তাদের প্রয়োজন নেই। এটা হঠাৎ করে আসা একটি সাময়িক ‘যুগের হাওয়া নয়’, যে প্রাথমিক উন্মত্ততার পর্যায়ে কেটে গেলে ক্রমে স্তিমিত হয়ে যাবে। বরং দেখা যাচ্ছে তথাকতিত ‘আধুনিকতার জ্বর’ কেটে যাওয়ার পরও বর্তমান শিল্পোন্নত সমাজে অর্থনীতিই যাবতীয় নীতির সম্রাট হয়ে বসে আছে, যেখানে প্রবৃদ্ধি, যন্ত্রকুশলতা, জনশক্তির পূর্ণ-নিয়োগ (Full employment), মুনাফার সর্বোচ্চ পর্যায় ও বিশেষায়ণ (specialization)-ই যাবতীয় নীতিবোধের বিধাতা হয়ে বসে আছে।

অনুবাদ : মঈন বিন নাসির

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.

Verified by MonsterInsights